গ্রামের উভয় দিকে যাতায়াতের জন্য একমাত্র কাঁচা সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে বেহাল দশা। যান চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়েছে উঠেছে এ সড়কে। যোগাযোগ ব্যবস্থার এমন বেহাল দশায় হাজারো মানুষের অসহনীয় দূর্ভোগ। গেল কয়েক বছর থেকে বয়ে চলা এ দূর্ভোগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছেনা তাদের। এনিয়ে সংশ্লিষ্ট নানা স্থানে ধর্না দিয়েও যেই সেই- শুধু আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি। তাই দূর্ভোগ পোহানো গ্রামের বাসিন্দাদের উঠান বৈঠকের মাধ্যমে এমন ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ। এক দাবীতে গ্রামবাসীরা একজোট- ‘রাস্তা চাই’। এমন দাবীতে উঠান বৈঠকেই তুলে ধরেন রাস্তার কারণে তাদের নানা সমস্যার কথা।

বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের সদরপুর ও মোল্লাপুর ইউনিয়নের কটুখালিপাড় এলাকার মধ্যস্থল, বিলুপ্ত জমাদার খালের ওপর গড়ে ওঠা পূর্ব সদরপুর নওয়াগ্রাম। সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে গ্রামের বাসিন্দা সোহেল আহমদের বাড়ির উঠানে বসে এমন প্রতিবাদী উঠান বৈঠক। ওই উঠান বৈঠকে গ্রামের মুরব্বি ও যুবারা অংশ নেন।

রাস্তা নিয়ে উঠান বৈঠক হবে। বৈঠকে জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন এমন খবর পেয়ে গ্রামের ছোটবড় অনেকেই ওই বাড়িতে ছুটে আসেন। যাতায়াতে তাদের এমন বয়ে চলা দূর্ভোগের কথা জানাতে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান তিলপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান ও মোল্লাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মান্নান, বিয়ানীবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর আব্দুর রহমান আফজল।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য শমস উদ্দিন, হাফিজ হারুন উদ্দিন, আজিজুর রহমান, এনায়েত হোসেন ও আকবর হোসেন এবং এলাকার মুরব্বী আব্দুল মালিক, সওয়াব আলী, জমির উদ্দিন, আব্দুল মুকিত, আলা উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন, শাহ আলম, ছাদ উদ্দিন, আব্দুস সালাম, সুনাম উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন, আব্দুল করিমসহ দূর্ভোগগ্রস্থ এই সড়কের উপকারভোগীরা।

বৈঠকে জনপ্রতিনিধিদের সামনে গ্রামবাসী রাস্তা নিয়ে তাদের চলাচলে নানা দূর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। গ্রামবাসীরা বলেন- দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটির সংস্কার কাজ না করায় কার্যত যোগাযোগের কারনেই আমরা আশপাশের এলাকা থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছি। এ থেকে রেহাই পেতে নানা স্থানে ধর্ণা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। এসময় গ্রামবাসী অবিলম্বে রাস্তাটি মেরামত কাজ করে দেওয়ার জন্য উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয়ের কাছে অনুরোধ জানান।

পরে বৈঠকে উপস্থিত গ্রামবাসীর উদ্দেশ্যে চেয়ারম্যানদ্বয় বলেন- উপজেলার মাসিক সমন্বয়য় সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে যতদ্রুত সম্ভব সরকারী বরাদ্দের মাধ্যমে রাস্তাটি পূর্ণাঙ্গ মেরামতের করে দেওয়া আশ্বাস দেন। চেয়ারম্যানদ্বয়ের এমন প্রতিশ্রুতিতে উৎফুল্ল গ্রামবাসী তাদেরকে অভিনন্দন জানান। এর আগে জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত সকলকে নিয়ে গ্রামের রাস্তটি ঘুরে দেখেন।