বিয়ানীবাজার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কসবা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তার পাশে খালি জায়গা যেনো পরিণত হয়েছে অঘোষিত ডাস্টবিনে। আর তা দ্রুত সরিয়ে না নেয়ায় সেখানে স্তুপাকারে জমে আছে ময়লা-আবর্জনা। এসব স্তুপ থেকে ময়লা-আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পথচারীদের চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ।

বিদ্যালয়ের পাশের এই সড়ক দিয়েই হাজার হাজার মানুষের চলাচল থাকলেও ক্রমাগত সড়কের পাশে আবর্জনা ফেলতে ফেলতে স্থানটি আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টিতে ভিজে রোদে শুকিয়ে আবর্জনাগুলো বিষাক্ত বর্জ্যে রূপান্তর হচ্ছে। বর্জ্যগুলো বৃষ্টির পানিতে মিশে ওই এলাকার বিভিন্ন পুকুরে নিপতিত হয়ে মানুষের ব্যবহার্য পানিকে বিষাক্ত করে তুলেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শুধু স্কুলের পাশেই নয়, ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায়ও এভাবেই যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখায় স্তূপ হয়ে গেছে। আবর্জনা ফেলার জন্য নির্ধারিত কোন ডাস্টবিন না থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও পথচারীদের।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নির্ধারিত কোন স্থান নেই ওয়ার্ডবাসীর। তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা যেখানে-সেখানে আবর্জনা-ময়লা ফেলছেন। এতে স্তুপ জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, বিনষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। এতসব ভোগান্তির পরও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করা কিংবা ডাস্টবিন স্থাপনের ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন উদ্যোগ নেই। এলাকার সচেতন মহল এই আবর্জনার ভাগাড় বন্ধে পৌর প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি কামনা করেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা জিয়া উদ্দিন বলেন, খোলা জায়গার মধ্যে ময়লা-আর্বজনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ বিনষ্ট হওয়াসহ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া পুরো এলাকায় বয়স্ক মানুষের মধ্যে শ্বাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র ছয়ফুল আলম ঝুনু জানান, পৌরসভাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে বর্তমান পরিষদ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তিনি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও জানান।