সোনাই নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ঠেকইকোনা এলাকার বসত বাড়ি ও জামে মসজিদসহ গ্রামের সড়কটি নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এই অবস্থায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এরই মধ্যে ঠেকইকোনা গ্রামের কয়েকটি বসতবাড়ি নদীতে তলিয়ে গেছে, ঝুঁকির মূখে রয়েছে আরো কয়েকটি বাড়ি। একইভাবে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গ্রামের জামে মসজিদ। এরই মধ্যে গ্রামীণ অন্যতম প্রধান সড়কের বেশ কিছু অংশ ভেঙে নদীতে তলিয়ে গেছে। লোকজন ভাঙন কবলিত এলাকায় চলাচল করছেন পাশ্ববর্তী বসতবাড়ির মধ্য দিয়ে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দায়িত্বশীলদের নদী ভাঙনের বিষয়টি জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ফলে তারা নদী ভাঙনের আতংক নিয়ে দিনপাত করছেন তারা।

নদী ভাঙনে ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল ও সোহরাব আলী বলেন, আমাদের বাড়ি সোনাই নদীতে তলিয়ে গেছে। যেকোনো সময় বাড়ির শেষ অংশটুকুও বিলীন হয়ে যাবে। এ অবস্থায় বসনহীন হয়ে পড়ব আমরা। তাই দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান লাল মিয়া বলেন, সোনাই নদীর ভাঙনের কবলে আমাদের জামে মসজিদটি৷ ঝুঁকির মধ্যেও নামাজ পড়তে হচ্ছে।

মুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়টি সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলদের অবহিত করা হয়েছে।

সিলেটে পানি উন্নয়ন রোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শহীদুল্লাহ সরকার জানান, ভাঙনের বিষয়টি তাদের অবহিত করা হয়নি।

বিয়ানীবাজারে সোনাই নদীর ভাঙনে বিলীনের পথে বসতবাড়ি, মসজিদসহ গ্রামীণ সড়ক