বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব চলাকালেও যাতে আর্থিক সংকট কিংবা মেধার দুর্বলতা অথবা দিকনির্দেশনার অভাবে প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ছিটকে পড়তে না পারে সমাজের এমন অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অনুপ্রাণিত করতে তাদেরকে একটু সহানুভূতি দেখিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে চান এক ছাত্রলীগ নেতা। আর তাই প্রত্যন্ত এলাকার অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য অনন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তিনি। প্রতিদিন সুবিধাবঞ্চিত একজন শিশুর হাতে একদিনের আহার ও শিক্ষা উপকরণ সমৃদ্ধ একটি কার্টুন উপহারস্বরুপ তুলে দিচ্ছেন তিনি।

মাসব্যাপী গ্রহণ করা অনন্য এ কার্যক্রমের উদ্যোক্তা হচ্ছেন মাহবুব হোসেন আজাদ জীসান। বিয়ানীবাজার উপজেলার ছাত্রলীগের একজন অন্যতম নেতা। ছাত্রলীগ নেতার এমন মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহলের ব্যক্তিবর্গরা।

গত প্রায় ১১ দিন ধরে ছাত্রলীগ নেতা মাহবুব হোসেন আজাদ জীসান এই কার্যক্রম পরিচালিত করে আসছেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনা প্রাদুর্ভাব চলাকালেও প্রতিদিন উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকার সুবিধাবঞ্চিত একজন শিশুর হাতে তুলে দিচ্ছেন একদিনের আহার ও শিক্ষা উপকরণ সমৃদ্ধ একটি উপহারস্বরুপ কার্টুন। এছাড়াও সেই কার্টুনের মধ্যে রয়েছে দুই ধরনের বিস্কুট, চিড়া, আমের জুস, জীবাণুনাশক সাবান, তেল, চানাচুর, চকলেট, সেমাই, নুডলস ইত্যাদি। তার এ কর্মসূচি মাসব্যাপী অব্যাহত থাকবে বলেও জানা গেছে।

এসব কার্যক্রমের ছাত্রলীগ নেতা মাহবুব হোসেন আজাদ জীসানকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন সামছুল অালম অাপরুল, কামরুল হেসেন রাব্বি, জিয়াউর রহমান মুন্না, অাবিদ হেসেন রাফি। এছাড়াও তাকে এসব কর্মকাণ্ডে প্রেরণা দিয়েছেন সহযোগিতা করেছেন কুশিয়ারা ছাত্র ঐক্য পরিষদের সদসবৃন্দ।

এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে ছাত্রলীগ নেতা মাহবুব হোসেন আজাদ জীসান বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। শিশুরা বাড়িতে অবস্থায় করেই নিজেদের লেখাপাড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সমাজের অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা অন্য শিশুদের মতো বাড়িতে অবস্থান করে পড়ালেখায় স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের নিয়োজিত রাখতে পারছে না। পাশাপাশি অভিভাবক ও পরিবারের উপার্জনক্ষম সদস্যরা আর্থিক সংকটের মধ্যে থাকায় এসব অসহায় শিশুদের অনেকেই পড়ালেখা থেকে অনেকটা দূরে সরে রয়েছে। অনেকের অবস্থা এমন যে, দুর্যোগকালীন সময় পার হবার পর আর্থিক সংকটের কারণে তারা বাচ্চাদের পড়ালেখা অব্যাহত রাখতে পারবে না। মূলত সেই জায়গা থেকেই আমার এ উদ্যোগ।

তিনি বলেন, আর্থিক সংকট কিংবা মেধার দুর্বলতা অথবা দিকনির্দেশনার অভাবে প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে যাতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা ছিটকে না পড়ে সে লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমার এমন উদ্যোগে যদি একজন শিশুও উপকৃত হয়, তাহলে আমার এ কর্মসূচি গ্রহণ করা সার্থক হবে।

‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন-