প্রশাসনিক তৎপরতায় ও কঠোর নজরদারিতে বিয়ানীবাজার চলছে তৃতীয় দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। বিয়ানীবাজারে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দুইন দিন খুব কঠোরভাবে পালিত হলেও তৃতীয় দিনে এসে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব চলে এসেছে। সে কারণেই পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে থানা পুলিশ। সেই সাথে থানা এলাকায় বিভক্ত হয়ে টহল দিচ্ছে পুলিশ। সরকারের নির্দেশনা না মেনে যারা বের হয়েছে তাদেরকে পুলিশ কোনভাবেই ছাড় দিচ্ছে না। এমনকি তাদেরকে সর্তক করেও দিতে দেখা যায়।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে পৌরশহরের উত্তর, দক্ষিণ ও বাজার এলাকায় পুলিশের নজরদারি ছিলো চোখে পড়ার মতো। সেই সাথে এসব এলাকার রাস্তাঘাটও ফাঁকা ছিলো। এছাড়া রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট যানবাহন, সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে চলমান লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা না মেনে বাহির হওয়ার কারণে তাদেরকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কোন সদুত্তর দিতে না পারায় পুলিশ তাদেরকে বাড়িতে ফেরত পাঠায়। এছাড়া নির্দেশনা না মানায় সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশা থেকে যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেয় পুলিশ।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশিক নূরের নেতৃত্বে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় চলমান লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনকে জরিমানা করতে দেখা গেছে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক নূর বলেন, লকডাউন সফল করে তুলতে উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিদিনই পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। সেই সাথে যারা লকডাউন না মেনে বাহির হয়েছেন তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়া যানবাহন নিয়ে যারা বের হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করছে পুলিশ। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে সরকারের দেয়া নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। একমাত্র স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন থাকলে এই মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।