বিয়ানীবাজারের প্রাচীন দেবপীঠ শ্রীশ্রী বাসুদেব মন্দির প্রাঙ্গণে শ্রীশ্রী বাসুদেব’র উল্টো রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়েছে। গতকাল রবিবার (২২ জুলাই) উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে প্রচুর ভক্তজনের আগমণ ঘটে।

বিকেল ৩ টায় বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ এর সভাপতিত্বে এবং বিপ্লব চক্রবর্তী ও সুজিত দে’র সঞ্চালনায় রথযাত্রা উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিয়ানীবাজার পৌরসভার মেয়র মো: আব্দুস শুকুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল হোসেন, শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সহকারি দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল, কাউন্সিলর নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

বিকেল ৪ টায় ভক্তগণ কাঠের রথে করে খোল, করতাল বাজিয়ে হরিনাম কীর্তনের মাধ্যমে বাসুদেব বিগ্রহকে নিয়ে ঠাকুর দিঘীর চতুরপার প্রদক্ষিণ করেন।

প্রসঙ্গত, হিন্দু রাজত্বের সময় পঞ্চখন্ডের সুপাতলা গ্রামে জয়ন্তীয়া রাজের দুর্গাদলই নামের এক কর্মচারী বাস করতেন। তাঁর বসত বাড়ির সামনে একটি প্রাচীন পুকুর ছিল। সেই পুকুরে জল থাকতো না। দুর্গাদলই ঐ পুকুর খনন কালে একটি বাসুদেব ও একটি দুর্গামূর্তি পান। কথিত আছে,দুর্গাদলই দেবী মূর্তিটি শক্তি উপাসক জয়ন্তীয়া রাজকে পূজার জন্য পাঠিয়ে দেন। আর বাসুদেব মূর্তিটি বিজয়কৃষ্ণ পাঠক নামের স্থানীয় একজন ব্রাহ্মণ কে নিত্য পূজার জন্য প্রদান করেন। সেই সময় থেকে অর্থাৎ খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দী থেকে শঙ্খ চক্র গদা পদ্মধারী (চতুর্ভূজ) ত্রিবিক্রম বিষ্ণু পূজিত হচ্ছেন। ঐ সময় থেকেই প্রতি বছর আষাঢ় মাসে শ্রীশ্রী বাসুদেবের প্রথম রথযাত্রা এবং এক সপ্তাহ পরে উল্টো রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

সবার সহযোগিতায় রথযাত্রা অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে সমাপ্ত হওয়ায় ধন্যবাদ জানান রথযাত্রা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কান্তি চক্রবর্তী ও সদস্য সচিব অরুণাভ পাল চৌধুরী মোহন।