বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত লিটু হত্যা মামলায় আটক আসামীদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। আজ রবিবার দুপুর ২টায় সিলেট জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ফারজানা শাকিলা সমু চৌধুরীর আদালতে মামলার শুনানি শেষে আদালত আসামীদের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল হক বলেন, সিলেট দায়রা জজ’র ৪নং আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আসামীদের ২দিনে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে বিজ্ঞ আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলাম। তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ১৯ জুলাই আসামীদের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন জমা দেয়া হয়।

গত ১৭ জুলাই বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজে ইংরেজি বিভাগের শ্রেণি কক্ষে গুলি বিদ্ধ হয়ে খালেদ আহমদ লিটু নিহত হন। পুলিশের ধারণা নিজ গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে লিটু খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগ পাভেল গ্রুপের ৪ নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে। এরা হচ্ছেন ফাহাদ, কামরান, এমদাদ ও মিষ্টু।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আদালতে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় আসামীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলগাজত থেকে থানায় নিয়ে আসা হবে। আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে লুকিয়ে রয়েছে এ হত্যাকান্ডের সকল তথ্য। আশাকরি ঘাতক শনাক্ত ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে পারবো। এর সাথে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা যাবে।

উল্লেখ, গত ১৭ জুলাই সোমবার দুপুরে খালেদ আহমদ লিটুর গুলিবিদ্ধ লাশ বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের একটি শ্রেণি কক্ষ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতে লিটুর পিতা খুলিলুর রহমান বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা পাভেল গ্রুপের ছয় নেতাকর্মী ও পল্লব গ্রুপের একজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৫জন আসামী করে একটি হত্যা মামলা (১৩)-১৭-০৭-১৭ দায়ের করেন। এ মামলায় আসামী দেখিয়ে পুলিশের হাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক পৌরসভার ফতেহপুর গ্রামের হোসেন আহমদের পুত্র ফাহাদ আহমদ (২৩), কসবা নাদুর গোষ্টির মাসুক আহমদ এর পুত্র কামরান আহমদ (২৪), খাসা গ্রামের সাহাব উদ্দিনের পুত্র এমদাদুর রহমান (২২) ও দাসগ্রামের আবুল খালেদের পুত্র দেলোয়ার হোসেন মিষ্টু (২৮) কে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ মামলার অপর আসামী দাসগ্রামের মৃত নিজাম উদ্দিনের পুত্র নুরুল ইসলাম শিপু (২৪), ফতেহপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের পুত্র কাওছার (২৫) এবং নয়াগ্রামের কালা মিয়া কসাইয়ের পুত্র ছাত্রলীগ পল্লব গ্রুপের কর্মী সাহেদ আহমদ (২৪) পলাতক রয়েছে। পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত চার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে এ মামলায় আসামী দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে।