চলাচলের সুবিধার্থে সড়ক সম্প্রসারণ করা হলেও তার সুফল ভোগ করতে পারছেন না বিয়ানীবাজারবাসী। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি ও পৌরসভার জমিতে অনুমতি ছাড়াই ফেলে রাখা হয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের গাছের কাঠ ও নির্মাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল। এতে সঙ্কুচিত হচ্ছে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা। তাছাড়া এমন প্রতিবন্ধকতায় প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, গোটা উপজেলার ছোটবড় সবকটি সড়কই যেন অসাধু ব্যবসায়ীদের দখল কব্জা হয়ে গেছে। সড়কের ওপর গাছের কাঠ ও নির্মাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল ফেলে রাখার কারণে একদিকে যেমন যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তাছাড়া সড়কের ওপরেই যত্রতত্র রাখা এসব গাছের কাঠ ও নির্মাণ সামগ্রী বছরের পর বছর ফেলে রাখলেও প্রশাসনের কোন তৎপরতা নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের বারইগ্রাম বাজার ও থানা বাজার এলাকায় বারইগ্রাম-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দু’ধারে স’মিলের কাঠ সড়কের পাশে ফেলে রাখা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। বাজারের পাশে দখল থেমে নেই। এর মধ্যে থানাবাজারের সবকটি স’মিলের কাঠ ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তার ধারে। শুধু বারইগ্রাম ও থানা বাজার এলাকাই নয়, পৌরসভার সবকটি সড়ক, বারইগ্রাম-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক, বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়ক, বিয়ানীবাজার-সারপার বাজার সড়ক, শেওলা পয়েন্ট-শেওলা স্থলবন্দর সড়ক, জিরো পয়েন্ট-খাড়াভরা বাজার, চারখাই-কাকুরা সড়ক পর্যন্ত একই অবস্থা বিরাজ করছে। কোথাও কাঠ ফার্নিচার ব্যবসায়ীরা রাস্তায় পাশে কাঠ ফেলে রেখেছেন, আবার কোথাও আবার অনেকেই ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রেখেছেন। এতে যান ও পথচারীদের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাগুলো সরু ও ঝুকিপূর্ণ মোড় থাকার কারণে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোটবড় দূর্ঘটনা।

স্থানীয় অধিবাসীরা বলছেন, গোটা উপজেলার সবকটি সড়কজুড়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দখলে গাছের কাঠ ও নির্মাণ সামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল ফেলে রেখেছেন। তাদের এমন দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষের চলাচল করাও অনেক সময় দায় হয়ে পড়ে। সরু রাস্তা ও ঝুকিপুর্ণ মোড়গুলোতে এসব সামগ্রী রাখার কারণে প্রতিদিনই দূর্ঘটনা ঘটছে। অথচ এসব ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কোন নজরদারি। আর তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের দখলে চলে যাচ্ছে সড়কগুলো।

থানাবাজার এলাকার ঝুকিপুর্ণ মোড়ে সড়কের পাশে যত্রতত্রভাবে অসাধু ব্যবসায়ীরা গাছের কাঠ ফেলে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট প্রকাশ করেছেন সাইবুল আলম রেজা নামের এক ব্যবসায়ী।

ওই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘সমগ্র বিয়ানীবাজার চলে বিয়ানীবাজার স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মে কিন্তু বিয়ানীবাজার-সিলেট মহাসড়কের শেষ এলাকা বারইগ্রাম চলে স্থানীয় ভূমিদস্যু, আর দখলদারদের নিয়মে, আঞ্চলিক মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ বাকে এভাবে গাছ রেখে-গরু ব্যাবসার জন্য খোয়াড় তৈরি করে প্রতিনিয়ত চলছে সড়ক দখলের প্রতিযোগিতা। অথচ এই রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন ঢাকাগামী বাসসহ চলাচল করে হাজার খানেক যানবাহন। প্রতিনিয়ত রাস্থায় গরুর গাড়ি/গাছ রেখে সৃষ্টি করা হয় কৃত্রিম যানজট। স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ এদেরকে শাস্তির আওতায় এনে জনসম্মুখে এদের পরিচয় প্রকাশ করা হোক।’

এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক নূর বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিত্যপণ্যের সাথে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির