হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতাল কর্মসূচি চললেও বিয়ানীবাজারে কোন উত্তাপ নেই, হরতলা চলছে ঢিলাঢালা ভাবেই। রোববার (২৭ মার্চ) ভোর থেকে বিয়ানীবাজারে হরতাল পালন হলেও খুব বেশি একটা পিকেটিং লক্ষ্য করা যায়নি। তবে হরতালের প্রভাব না পড়লেও রাস্তায় গাড়ি চলাচল অন্যান্যের দিনের তুলনায় কিছুটা কম। একইসাথে পৌরশহরের উত্তরবাজার বাসস্ট্যাণ্ড থেকে খুব একটা ছেড়ে যাচ্ছে না দূরপাল্লার বাস।

দুপুর দেড়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পৌরশহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, হরতালের ডাক দিয়ে বাস্তবায়নে অবস্থানে নেই হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। ভোরবেলা বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলেও দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে দুপুর ১টার দিকে হরতালকে সমর্থন জানিয়ে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের কলেজ রোডে ঝটিকা মিছিল করেছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ঝটিকা মিছিলে ছাত্রদলের ১০/১২ জন নেতাকর্মীকে অংশ নিতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, সকাল ৯টা পর্যন্ত যান চলাচল কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে যান চলাচল বাড়তে থাকে। অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেছে।

যাত্রীরা বলছেন, রাস্তাগুলোতে যানবাহন অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। অন্যদিকে পরিবহণ নেতা ও শ্রমিকরা বলছেন, তারা ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী হলেও পেঠের দায়ে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছেব। তবে হরতালের প্রতি তাদের মৌন সমর্থন রয়েছে।

এদিকে নাশকতা ঠেকাতে পৌর শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করছে। সবমিলিয়ে বলা যায়, শান্তিপূর্ণভাবে হেফাজতের  প্রভাবহীন হরতাল চলছে। এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের আপত্তিকর ঘটনা ঘটেনি।

বিয়ানীবাজার থানার ওসি হিল্লোল রায় বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল চলছে। হরতালের জন্য যান চলাচল কিছুটা কম। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে। যেকোনো ধরনের আপত্তিকর ঘটনাসহ যারা জনগণের জানমাল ও গাড়ি ভাঙচুর করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিলপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করিম শামিম এর মতবিনিময়