মুক্তিযুদ্ধে দুই চোখ ও এক হাত হারানো প্রথম শ্রেণির রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতাপ্রাপ্ত ও জাতীয় পদকপ্রাপ্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, বিয়ানীবাজার উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের বড়উধা গ্রামের কৃতি সন্তান মো. মানিক আলীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। শুক্রবার প্রয়াত এই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে পবিত্র কোরআনে খতম, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখেন পরিবারের সদস্য এসএম মাহবুবুল করিম, এসএম মাজহারুল করিম, এসএম মাশরিউল করিম, বিয়ানীবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক এম. হাসানুল হক উজ্জল, সারপার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসলাম উদ্দিন, সাংবাদিক আহমদ রেজা চৌধুরী, পূর্ব মুড়িয়া যুবলীগ নেতা সুলতান আহমদ টিপু।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে স্বাধীনতা এনেছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মানিক আলী। তেমনি স্বাধীনতার পরেও এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। নিজ এলাকার উন্নয়নে আমৃত্যু কাজ করেছেন দেশের জন্য নিজের দুই চোখ ও এক হাত হারানো এ বীর সৈনিক।

পিতার আত্মার মাগফেরাত কামনার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন সন্তানরা। তারা বলেন, বাবার দুই চোখ না থাকলেও তিনি আমাদের চেয়ে যেন সবকিছু ভাল দেখতেন। ঢাকায় থাকলেও গ্রামের বাড়ি, আশপাশের এলাকা এমনভাবে বর্ণনা করতেন বাস্তবের সাথে তার অমিল থাকতো না। তার বাহ্যিক দৃষ্টি মুক্তিযুদ্ধে হারালে অন্তরদৃষ্টি এতো প্রখর ছিল যেন সব কিছু তিনি দেখছেন। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনার জন্য সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি।

২০১৯ সালের রবিবার ২০ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে নয়টায় রাজধানী একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বীর সন্তান। পরেরদিন সোমবার গ্রামের বাড়িতে জানাযার নামাজ শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে সমাহিত করা হয়।

‌মসজিদের শহর বিয়ানীবাজার।। পর্ব#৫৫।। এ পর্বে রয়েছে মাথিউরা ইউনিয়নের পুরুষপাল জামে মসজিদ