বিয়ানীবাজারে ব্যবসায়ী কামাল হোসেনের হত্যা ও লাশ গুমের সাথে ৬ জন জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। সিলেটের উপ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) লুৎফর রহমান হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং এর সাথে জড়িতদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান।

ঘাতকরা টাকা আত্মসাৎ করতে প্রথমে তাকে অপহরণ করে। পরে তার দিয়ে পেছিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে। ব্যবসায়ী কামাল কর্মচারি আনির আলীকে সাথে নিয়ে আলীনগরের খলাগ্রামের নিজের কেনা বাড়িতে থাকতেন। সেখানেই তাকে অপহরনের পর হত্যা করে ঘাতকরা।

গ্রেফতারকৃত দোকান কর্মচারি আমির উদ্দিন জানায়, ২০১৯ সালের জুন মাসে কামাল আহমদের দোকানের কর্মচারী ছিল। সে সময় কামাল আহমদের অগোচরে সিগারেট, মার্কস দুধ ও অন্যান্য ৮ লাখ টাকার মালামাল হেলাল আহমদের কাছে বিক্রি করে দেয়। ভিকটিম কামাল আহমদ উক্ত মালামালের টাকা আত্মসাতের জন্য আমির উদ্দিন, হেলাল  আহমদ, আলী আকবর, আলীম উদ্দিন, আব্দুস শহিদ ও জুবের আহমদ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে গত বছরের ১০ আগস্ট ব্যবসায়ী কামালকে কৌশলে অপহরণ করে। তারা তাকে আলীনগর ইউনিয়নের খলাগ্রামের বাড়িতে নিয়া ইলেকট্রনিকের তার দিয়ে হাতপা বেধে হত্যা করে। এরপর মরদেহ প্লাস্টিকের ড্রামে ঢুকিয়ে পুতে ফেলা হয়।

আমিরের বাড়ি জকিগঞ্জের আটগ্রামের রায়গ্রামের মনু মিয়ার পুত্র। পুলিশ অপর তিন আসামী আলী আকবর, আলীম উদ্দীন ও জুবের আহমদকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। মামলাটি তদন্তে করছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জকিগঞ্জ সার্কেল সুদীপ্ত রায়। তিনি বলেন, গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার বিকেলে ডুবুরীর সাহায্যে বাড়ির পাশে ডুবায় ড্রামের ভেতর থেকে ব্যবসায়ীর কঙ্কালসার উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আমির স্বীকার করে টাকার লোভে কামালকে তারা হত্যার পর মরদেহ গুম করে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরো দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিয়ানীবাজারে আরও ৯ জন করোনা আক্রান্ত