বোরো মৌসুমে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বোরো ধানের বীজ কেজি প্রতি ১০ টাকা হারে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। এ বছর বিয়ানীবাজার উপজেলাজুড়ে আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৩ মেট্রিকটন বোরো ধানের বীজ বরাদ্দ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

গত মৌসুমের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৭ শত হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর। সহজ পদ্ধতিত্বে কৃষকরা পৌরশহরের ৩টি সেন্টার থেকে প্রতেক কৃষক সর্বোচ্চ ১০০ কেজি পর্যন্ত উচ্চ ফলনশীল বীজ ১০টাকা কমমূল্যে সংগ্রহ করতে পারবেন।

কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে বুধবার দুপুরে পৌরশহরের জনতা মার্কেটে আব্দুর রহমান বীজ ঘরের সামনে কৃষক-কৃষাণীদের নিয়ে সমাবেশ করে উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর। কৃষি কর্মকর্তা মো. আনিছুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেন। এসময় তিনি, কৃষিক্ষেত্রে সরকারের এমন উদ্যোগের ভূয়ুসি প্রসংসা করেন। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। বিগত সময়ের ন্যায় এবারও বোরো মৌসুমেও ভূর্তুকি মূল্যে কৃষকদের মধ্যে বীজ বিতরণের মাধ্যমে দেশের খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসস্পূর্ন হচ্ছে।

কৃষকদের সহযোগিতায় আউস ও আমনের মতো বোরো ধানেও সাফল্য ধরে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন কৃষি কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান। তিনি বলেন, গত মৌসুমে ৫ হাজার ৮’শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছিল। আর এবার ৬ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৩ মেট্রিকটন বীজ অতিরিক্ত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিলারের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের দোড়গোড়ায় বীজ পৌছে দেওয়ার লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে। তিনি এখানকার প্রবাসীদের নিজ নিজ পতিত জমিগুলো অনাবাদী না রেখে আবাদের আওতায় এনে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিরা লাল বিশ্বাস, আব্দুর রহমান বীজ ঘরের স্বত্তাধীকারি আব্দুর রহমান, বেলাল ঢ্রেডিং বীজ ঘরের স্বত্তাধীকারি বেলাল আহমদ, দুবাগ ইউনিয়নের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা আহসান কবির সহ বিভিন্ন কৃষক দলের সদস্যরা।