বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিষমুক্ত লাউ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। অল্প খরচে বিষমুক্ত ও নিরাপদ লাউ চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। এতে লাউ চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে। লাউ শীতকালীন সবজি হলেও বছরজুড়েই লাউ চাষ করছেন এখানকার চাষিরা। বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি স্বাবলম্বীও হচ্ছেন অনেকে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের প্রায় সব এলাকাতেই কম-বেশি লাউয়ের চাষ হয়। তবে দুবাগ, লাউতা, মোল্লাপুর, মুড়িয়া, তিলপাড়া ইউনিয়নে লাউয়ের চাষ একটু বেশিই হয়ে থাকে।

কীটনাশকের পরিবর্তে সেক্স ফেরোমেন ফাঁদ ব্যবহার করে নিরাপদ ও বিষমুক্ত লাউ চাষ করছেন এখানকার চাষিরা। তাছাড়া রাসায়নিক সারের পরিবর্তে কেঁচো সার ব্যবহার করে জৈব উপায়ে সুস্থ ও ভালো আকৃতির সুস্বাদু লাউ আবাদ হচ্ছে। এতে সম্পূর্ণ বিষমুক্ত ও নিরাপদ সবজি পাচ্ছেন ক্রেতারা।

সরজমিন উপজেলার জলডুপ ও বারইগ্রাম এলাকার কয়েকটি লাউ ক্ষেতে দেখা যায়, মাচায় দুলছে সবুজ ও লম্বাকৃতির শত শত লাউ। ডগায় ডগায় লাউ ধরেছে। ডগায় লাউয়ের কুঁড়ি ধরেছে থরে থরে। চাষিরা তাদের লাউ ক্ষেতের পরিচর্যা করছেন। কেউবা আবার লাউ কাটছেন বিক্রির জন্য।

বারইগ্রামের এলাকার অটোরিক্সা (সিএনজি) চালক রাসেল আহমদ জানান, সরকারি প্রণদোনায় বীজ পেয়ে লাউ চাষ করেছেন তিনি। এ বছর মাত্র ১৫ শতক জমিতে লাউ চাষে খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ৮-১০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। আরো কয়েক হাজার টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবেন বলেন তিনি আশাবাদী।

তিনি আরো জানান, আগাম লাউ চাষে তার সাফল্য দেখে অনেকে অনুপ্রানিত হচ্ছেন। গাড়ি চালানোর পাশাপাশি সবজি চাষের মাধ্যামে বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়েছে। দেখতে সুন্দর ও সুস্বাদু হওয়ায় আশপাশের লোকজন জমি থেকেই লাউ কিনে নিচ্ছেন। প্রতিটি লাউ ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

লাউতা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আজিজ জানান, অল্প খরচে লাউ চাষ করে বাড়তি আয় করছেন চাষিরা। এতে তারা বেশ লাভবান হচ্ছেন। লাউসহ বিভিন্ন সবজি নিরাপদ উপায়ে চাষাবাদ করতে কৃষকদের পর্যাপ্ত পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বিয়ানীবাজারে বিষমুক্ত লাউ চাষে লাভবান কৃষক