বিদ্যুৎ না থাকায় মোমবাতির আলোতে পরীক্ষা দিলো বিয়ানীবাজার উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চলমান অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষায় অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) উপজেলার সবকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে বিদ্যুৎ না থাকায় পরীক্ষার্থীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা চলছে। কিন্তু মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া টানা বর্ষণে পল্লীবিদ্যুতের ভেলকিবাজিও যেন মাত্রা ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে উপজেলার মুড়িয়া, চারখাই, কুড়ারবাজার, তিলপাড়া, শেওলা, মাথিউরা, দুবাগ, আলীনগর, লাউতা, মোল্লাপুর ইউনিয়নের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে বিকল্প ব্যবস্থায় না থাকায় অন্ধকারে পরীক্ষা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। উপজেলার পূর্বমুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে মোমবাতির আলোতে পরীক্ষা দিয়েছেন পরিক্ষার্থীরা।

কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, সকাল থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ নেই, পরীক্ষার হলগুলো অন্ধকার তাই বাধ্য হয়ে মোমবাতির আলোতে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তাদের। আব্দুল আজিজ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বৃহস্পতিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে পরীক্ষা ছিল। কিন্তু ভালো প্রস্তুতি থাকা স্বত্তেও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারিনি।

পাতন-আব্দুল্লাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু তাহের বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ের অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা থাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপাকে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। উপজেলার বেশীরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় শিক্ষার্থীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে। এতে তাদের ভীষন সমস্যা হচ্ছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে অর্ধ বার্ষিকী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানা থাকলেও বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। অন্ধকারে পরীক্ষার্থীদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তাছাড়া সন্ধ্যার সময়ও বিদ্যুৎ বিভাটের কারনে পরীক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়াশুনা করতে পারছেনা।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পল্লীবিদ্যু বিয়ানীবাজার জোনাল অফিসের ডিজিএম অভিলাষ চন্দ্র পালের মুঠোফোনে কল করলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়।