বিয়ানীবাজারে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার বাড়ছে। প্রথমদিকে করোনা রোগীর সেরে ওঠার হার কম থাকলেও এখন দ্রুত সেরে ওঠার হার বাড়ছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় সুস্থ হয়েছেন ১৭৯ জন, যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি।

গত ২৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল ফেরত এক জুয়েলার্স কারিগরের শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর থেকে সোমবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪৯ জনে এবং মারা গেছেন ১৩জন। এ উপজেলায় ৫৭ জন করোনা রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১০ আগস্ট) নতুন করে আরও ৪জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। তবে আগামী আরও ৭ দিন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে হবে। নতুন সুস্থ হওয়া রোগীরা হচ্ছেন- বিয়ানীবাজার পৌরসভার নিমতলার ফয়সল আহমদ ৯৩০), দুবাগের মিহির দেব নাথ (২৭), পৌরসভার আজির মার্কেটের মোঃ অলি আহমদ (২৫) ও লাউতার কালাইউরার তায়েফ আহমদ (২৫)।

স্বাস্থ্য বিভাগের দিক থেকে রোগীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া, সার্বক্ষণিক ফলোআপ করা, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশের জটিল কোনো উপসর্গ না থাকা করোনা রোগীরা দ্রুত সেরে উঠছেন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবু ইসহাক আজাদ বলেন, করোনায় আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর মধ্যে দেখা দেওয়া লক্ষণগুলো মৃদু। ফলে তাঁরা দ্রুত সেরে উঠছেন। শুরুতে করোনা রোগীর সেরে ওঠার হার কম থাকলেও এখন দ্রুত সেরে ওঠার হার বাড়ছে। তিনি বলেন, করোনা রোগীরা মনোবল দৃঢ় করে নিয়ম মেনে চললেই সুস্থ হয়ে উঠবেন। আক্রান্তদের জটিল কোনো উপসর্গ দেখা না দেয়ায় হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে।

বিয়ানীবাজার সম্ভাবনা থাকলেও উদ্যোগ নেই পর্যটন শিল্পে