বিয়ানীবাজার উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুশিয়ারা নদী ও সুরমা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গঠন করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসনের পর্যবেক্ষব টিম।

কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে রবিবার এবং সোমবার ১০০ সেন্টি মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যার কারণে এ পর্যন্ত ১৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সাথে ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন ১১টি মেডিকেল টিম, ১১টি স্কাউট টিম, ৫টি ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষক টিম, ১১টি আনসার টিম কাজ করছে। বন্যা কবলিত এলাকায় ২২মেট্রিক টন চাল মঙ্গলবার থেকে বিতরণ করা হবে। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের চাল বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ২২ মেট্রিকটন চাল উপজেলার ক্ষতিগ্রস্থ ২২শত জনের মধ্যে বিতরণ করা হবে। একই সাথে ১শত প্যাকেট শোকনো রাখা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হতে পারে। উজানের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় নদী ও আশপাশ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সাথে বন্যা সব কিছু স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়ে বেশ কয়েকটি কমটি গঠন করা হয়েছে। সবার সহযোগিতায় প্রাকৃতিক এ দুর্যোগ আমরা কোন রকম সমস্যা ছাড়া কাটিয়ে উঠতে পারবো।