বিয়ানীবাজারে বজ্রপাতে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে বিদ্যুৎ মিটার, মেইন সুইচ, ঘরের ইলেক্ট্রনিক ওয়ারিং, ব্যবহার্য ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতিসহ একাধিক ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। একই সময়ে বজ্রপাতে সুপাতলা সাবস্ট্রেশনের দুইটি ফিডারের দুইটি পিটি পুড়ে যায়।

বিয়ানীবাজার উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সুত্র জানায়, উপজেলার মুড়িয়া ইউনিয়নের ঘুঙ্গাদিয়া ও জলঢুপ থানাবাজার এলাকায় কয়েকটি আবাসিক মিটার এবং বৈদ্যুতিক তার পুড়ে গেছে। এছাড়াও সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সুপাতলাস্থ সাব স্টেশনের ২টি পিটি পুড়ে গেছে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে ভোর থেকে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ‘আলোর গেরিলা টিম’ মাঠে কাজ করেছে। এ সময়ে বিকল্প ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ সেবা চালু রাখে পল্লীবিদ্যুৎ।

দুপুর ১২ টার দিকে সুপাতলা সাব স্টেশনের পুড়ে যাওয়া পিটি দুইটি বাইপাস করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে৷ দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার সর্বত্র বিদ্যুৎ চালু করা গেলেও গ্রাহক পর্যায়ে কয়েকটি মিটারে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে।

থানাবাজারের আবাসিক মিটারের গ্রাহক জালাল উদ্দিন জানান, বজ্রপাতে তাদের সংযোগ মিটার পুড়ে গেছে এবং ঘরে বৈদ্যুতিক তার, টিভিসহ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিনষ্ট হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ আলাল উদ্দিন জানান, বজ্রপাতে মিটারসহ ঘরেরবৈদ্যুতিক পাখাসহ ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম ভজন কুমার বর্মন বলেন, বজ্রপাতে সুপাতলা সাবস্ট্রেশনের দুই পৃথক ফিডারের দুইটি পিটি পুড়ে গিয়ে প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পিটিগুলো মেরামত ও সংস্কারের কাজ চলছে। এই সময়ে বিকল্প ব্যবস্থায় গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ চালু রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হলেও কিছু গ্রাহকের মিটার ও ওয়ারিং পুড়ে যাওয়ায় তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে কিছুটা সময় লাগবে।