বিয়ানীবাজারে টানা ৭২ ঘণ্টায় পৃথক পৃথক  অভিযান চালিয়ে তিনটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ ৫ চোরকে আটক করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন থেকে বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ঘন ঘন মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে। এর প্রেক্ষিতেই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন  বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিয়ানীবাজার পৌরশহরের দক্ষিনবাজারের জনতা মার্কেটের সামনে থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয়কালে তিন যুবককে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ডিসকভার মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। পরদিন শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টায় পৌরশহর থেকে দুটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি আর১৫ ও একটি এফজেড মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। সবশেষে, শনিবার (১০ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় বিয়ানীবাজার থানায় দায়েরকৃত মোটরসাইকেল চুরির মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীকে পৌরশহর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

[image link=”http://beanibazarnews24.com/wp-content/uploads/2019/08/3bike.jpg” img=”http://beanibazarnews24.com/wp-content/uploads/2019/08/3bike.jpg” caption=” ৭২ ঘণ্টার অভিযানে উদ্ধারকৃত ৩টি মোটরসাইকেল “]

বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের টানা ৭২ ঘন্টার অভিযানে আটককৃত মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্যরা হচ্ছেন- বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের দাসউরা রজব গ্রামের লুথফুর রহমানের ছেলে মাহফুজুর রহমান (২৪), পৌরশহরের খাসা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে এমরান আলমগীর, পৌরসভার শ্রীধরা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে শামসুজ্জামান সবুর (২৪), নবাং গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে নাহিদুর রহমান (২৪), কসবা গ্রামের আব্দুল গাফফারের ছেলে শাফি আহমদ (২০) ও মোল্লাপুর ইউনিয়নের পাতন গ্রামের নিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ সেলিম আহমদ (২৮)। আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা এখন নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতি মাসেই গড়ে ৮/১০টি মোটরসাইকেল চুরি হচ্ছে। চোরেরা একধরনের বিশেষ ক্যামিকেল ব্যবহার করে নিমিষেই মোটরসাইকেলের যেকোন ধরনের তালা খুলে ফেলতে পারে। পরে এসব মোটরসাইকেল চুরি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রি করে। এসব মোটরসাইকেলের কোনটি উদ্ধার করা উদ্ধার করাও হয়না। মোটরসাইকেল মালিকদের ধারণা, এসব মোটরসাইকেল চুরির সাথে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে।

এ ব্যাপারে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর বলেন, পুলিশের সাড়াশি অভিযানের অংশ হিসেবে মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৫ সদস্যকে আমরা ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি। আমরা এ চোরচক্র সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছি। এ অভিযান অব্যাহতভাবে চলবে। তিনি আরোও বলেন, শুধুমাত্র মোটরসাইকেল চোরচক্র নয়, আমরা ক্রসের অবৈধ গাড়ি পেলেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।