‘পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিয়ানীবাজারে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০১৯ পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় থানা চত্বরে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের আয়োজনে কেক কেটে দিবসটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। পরে পৌরশহরের এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি শোভাযাত্রা বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে উপজেলা কনফারেন্স রুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় মিলিত হয়।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনী শংকর কর এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা বাবুল আক্তার, তিলপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, মুল্লাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, লাউতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গৌছ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবীর, লাউতা ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন।

সভায় বক্তারা বলেন, দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীবনের ঝুকি নিয়ে তারা মানুষের সেবায় কাজ করেন। সরকার পুলিশের সাথে জনগণের সুসম্পর্ক জোরদার করার লক্ষেই বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে। তাই আমাদেরও উচিত পুলিশকে আইন সবধরণের সহযোগীতায় এগিয়ে আসা। অপরাধ কর্মকান্ডে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরোদ্ধে সকল প্রকার আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং সমাজ হতে অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে পুলিশকে সংবাদ দিয়ে সহায়তা করার আহবান জানান তারা।

‘পুলিশ এবং জনগণের মধ্যে সেতুবন্ধনই পুলিশিং কমিউনিটি ডে’ উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর বলেন, কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌছে দিয়ে পুলিশি সেবা বৃদ্ধির মাধ্যমে পুলিশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করতে হবে।। তিনি বলেন, পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, আস্থা, বিশ্বাস, সমঝোতা ও শ্রদ্ধাবোধ বৃদ্ধির মাধ্যমে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা অর্থবহ ভূমিকা পালন করবে।

এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকসহ বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ কর্মকর্তা, কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও গ্রাম পুলিশের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক।