মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে একই চালককে বিপরীত চিত্র দেখতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে লাইসেন্স দেখাতে হয়েছে গলদঘর্ম। এবার পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘটে গাড়ির চালক ও যাত্রিদের হতে হয়ে নাজেহাল। বিয়ানীবাজারে অবরোধে অংশ নেয়া শ্রমিকরা বিদেশগামী যাত্রিদের গাড়ি আটকিয়ে দেখছেন পাসর্পোট-টিকেট !

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রাজধানী থেকে সারা দেশে ছিড়িয়ে পড়ে দুইপর দিন। বৃহস্পতিবারও সিলেটসহ সারাদেশের শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও রাস্তায় নেমে আসে। অথচ অল্প সময়ের মধ্যে রাস্তার দখল নিয়েছে পরিবহণ শ্রমিকরা। সারাদেশের মতো বিয়ানীবাজারেও ভোর থেকে রাস্তা অবরোধ করে ধর্মঘট পালন করছে তারা।

কোন ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ পরিবহন ধর্মঘটে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। ছুটির দিনে পারিবারিক প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষজনকে গন্তব্যে যেতে হয়েছে পায়ে হেঁটে। বিদেশ যাত্রিদের বেলায় অবরোধ শীতিল হলেও নাস্তানাবুদ হয়েছে যাত্রিদের। বিদেশ যাত্রি লেখা থাকলেও শ্রমিকরা গাড়ি আটকিয়ে পাসপোর্ট-টিকেট দেখছেন। আজেবাজে প্রশ্ন করে নাজেহাল করছেন। ঘন্টাখানেক আটকিয়ে তারপর ছেড়ে দিচ্ছেন।

বিয়ানীবাজার চন্দরপুর সড়কে নবাং সেতুতে শ্রমিক অবরোধে আটকে পড়েন চান্দ্রগ্রামে মধ্যপ্রাচ্য ফেরত কুতুব উদ্দিন। পাসপোর্ট-টিকেট দেখানোর পর তাকে প্রায় এক ঘন্টা গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে। মাথিউরার মঈন উদ্দিন অবরোধে আটকা পড়ে পায়ে হেঁটে শহরে যাওয়ার পথে এ প্রতিবেদককে বলেন, আমরা সবই বুঝি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পদত্যাগ করা হতে পারে এ ভয় থেকে এক মন্ত্রী তার সিপাহিদের মাঠে নামিয়েছে।

অবরোধে অংশ নেয়া পরিবহন শ্রমিক বেলাল জানান, সংবাদ পেয়ে এখানে এসেছি। কি কারণে অবরোধ করছি সেটা এখনো জানি না। অন্য শ্রমিক রাজু বলেন, উচ্চ আদালতে পরিবহন বিষয়ে নতুন আইন হচ্ছে। এতে আমাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবে। সেইজন্য আমরা অবরোধ করছি।

এ বিষয়ে স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক নেতা ময়নুল হোসেন বলেন, পরিবহন শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জেলা নির্দেশে আমরা পথে নেমেছি। নতুন করে পরিবহন আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। এতে পরিবহন শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত আসতে পাওে এ শংকা থেকে অবরোধের ডাক দেয়া হয়।