বিয়ানীবাজারের মাথিউরায় পরিবহন শ্রমিক নেতা ছয়েফ আহমেদ ময়নুলের ছুরিকাঘাতে পরিবহন মালিক জামিল হোসেন আহত হয়েছেন। ছুরিকাঘাতে আহত জামিলকে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মাথিউরার পূর্বপাড় এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , পরিবহন শ্রমিক নেতা ছয়েফ আহমেদ ময়নুল মাথিউরার পূর্বপাড় এলাকায় সিএনজি চালক দুজাহানের কাছে পাওনা টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে দুজাহানের সাথে তার বাকবিতণ্ডা ঘটে। এ সময় সিএনজিতে থাকা সিএনজির মালিক জামিল হোসেন ময়নুলের সাথে কথা বলতে গেলে উভয়ই বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ময়নুল উত্তেজিত হয়ে ছুরি দিয়ে জামিলকে আঘাত করেন। এতে জামিল আহত হলে তাকে প্রত্যেক্ষদর্শীরা উদ্ধার করে প্রথমে বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, জামিলের ঘাড়ের একটু নীচে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। তার আঘাতটি গুরুতর। প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। বিকাল ৩টা পর্যন্ত ওসমানি হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন পরীক্ষা চলছে। ক্ষত স্থানে অস্ত্রপচার হতে পারে।

ছুরিকাঘাতে আহত জামিল হোসেন মাথিউরা পশ্চিমপার এলাকার বাহাদুরি বাড়ির নুরুল ইসলামের ছেলে এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন বড়ভাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পরিবহন শ্রমিক নেতা ছয়েফ আহমেদ ময়নুল বলেন, ‘জামিলের সাথে আমার কোন পূর্ব শত্রুতা নেই। তাকে আমি ছুরিকাঘাতও করি নি। পরিবহন শ্রমিক কালাম আর আমি যখন দুজাহানের সাথে কথা বলি তখন জামিল গাড়ি থেকে নেমে এসে আমাদের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু করে এবং এক পর্যায়ে কালাম তাঁর গাড়ির চাবি দিয়ে তাঁর ঘাড়ে আঘাত করে রকতাক্ত করে।’