বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই ইউনিয়নের কনকলস এলাকা থেকে পুলিশ আজ সোমবার দুপুরে ভাসমান অবস্থায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে। লাশটি চারদিন পূর্বে নিখোঁজ হওয়া অটোরিক্সা চালক মাসুদ আহমদের (১৮) বলে শনাক্ত করেছেন তার স্বজনরা। পুলিশের ধারণা, বৃহস্পতিবার রাতের কোন এক সময় তাকে হত্যা করে লাশ এখানে ফেলে দেয়া হয়। তবে তার সাথে থাকা অটোরিক্সার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, আজ দুপুরের দিকে চারখাই ইউনিয়নের কনকলস এলাকার একটি ডোবার কুচুরিপনার মধ্যে স্থানীয়রা ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অর্ধগতিল লাশ উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থলে থাকা নিখোঁজ অটোরিক্সা চালক মাসুদের স্বজনরা তার লাশ সনাক্ত করেন। নিহত মাসুদ আহমদ উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের চারাবই এলাকার সুজন মিয়ার পুত্র। সে পরিবার নিয়ে সিলেট সুরমা গেইট এলাকার মামার বাড়িতে বসবাস করতো। তিন ভাইয়ের মধ্যে মাসুদ সবার বড়। তার বড় তিন বোন রয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে মাসুদ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ চারখাই ইউনিয়নের নাটেশ্বর এলাকার তোতা মিয়া ও এনা মিয়া চৌধুরীকে আটক করেছে

মাসুদের মামাতো ভাই নুরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মাসুদের পরনে টিশার্ট ও প্যান্ট দেখে আমরা তাকে শনাক্ত করেছি। লাশে পচন ধরায় তার মুখ বিকৃত ছিল। তিনি জানান, সুরমা গেইট এলাকার মামার বাড়িতে বসবাসের সুযোগে মাসুদ তার আপন মামা লালু মিয়ার অটোরিক্সা চালিয়ে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করতো। গত বৃহস্পতিবার রাতে ১২টার দিকে সর্বশেষ মাসুদ তার দুলাভাই মোক্তার আলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে বাসায় ফিরার কথা জানায়। এরপর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় লালু মিয়া গত শুক্রবার অটোরিক্সাসহ মাসুদ নিখোঁজ উল্লেখ করে শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন।

বিয়ানীবাজার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, মাসুদকে হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে আরও কয়েকজনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে আমাদের ধারণা। তিনি বলেন, লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানি হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মাসুদের স্বজনরা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।