আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে বিয়ানীবাজারসহ সিলেট অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে সন্দেশ ও পিঠার অন্যতম একটি উপকরণ হচ্ছে নারিকেল। তবে এবার সেই পিঠা তৈরির উপকরণ নারিকেলের দাম অন্যান্য বছরের তুলনায় যেন আকাশছোঁয়া। প্রতি হালি নারিকেল ৪’শ থেকে সাড়ে ৪’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ক্রেতাদের দাবি, বিয়ানীবাজারের কিছু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নারিকেলের দাম বাড়িয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। অন্যদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম, পরিবহণ ব্যবস্থা ও পাইকারি বাজারে ঊচ্চমূল্যের কারণের বেশি দামে নারিকেল বিক্রি করছেন তারা।

রোববার সরেজমিনে বিয়ানীবাজার পৌরশহরের স্থানে ঘুরে দেখা যায়, অনেকেই ভোগ্যপন্যের দোকানের সামনে নারিকেলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। তবে আবার ভ্যানগাড়িতে করেও অনেক বিক্রেতা শহর ও শহরতলী বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে নিয়েও এসব নারিকেল বিক্রি করছেন।

পৌরশহরের নয়াগ্রাম রোডের নারিকেল ব্যবসায়ী সাজু মিয়া জানান, নারিকেলের দাম গতবারের চেয়েও কিছুটা বেড়েছে। তবে প্রতিটি নারিকেলই আকারভেদে দামও আলাদা। ছোট সাইজের নারিকেল হালি প্রতি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, মাঝারী সাইজের নারিকেল হালি প্রতি ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং বড় সাইজের নারিকেল ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

নারিকেল ব্যবসায়ী সাজু মিয়া জানান, নারিকেলের উৎপাদন কমে যাওয়া, অতিরিক্ত পরিবহণ খরচ ও পাইকারি বাজারে ঊচ্চমূল্যের কারণের বেশি দামে নারিকেল বিক্রি করছেন তারা। তিনি জানান, আগের মতো এখন আর ঈদের দিন মানুষজন পিঠা পায়েস খায়না। এ কারণে বেচাবিক্রিও কম। তবুও কেউ কেউ এখনো পিঠা-পায়েস খেতে চাইলে নারিকেল কিনে নিয়ে যায়। এ কারণে রমজানের পূর্বেই দুই হাজার নারিকেল কিনে রেখেছি।

এবি মিডিয়া গ্রুপের সিএফও, সাংবাদিক এম সিন উদ্দিন আর নেই, সর্বত্র শোকের ছায়া