বিয়ানীবাজারে নাগরিক সনদ পত্র জালিয়াতি করে শিক্ষক হতে চাচ্ছেন মো. ফরিদুল ইসলাম সৌরভ! তিনি সরকারি এ চাকরির নিয়োগ পেতে শেওলা ইউপি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরীত জাল নাগরিক সনদ ব্যবহার করেন। শিক্ষক নিয়োগের তালিকায় তেরাদল এলাকার বাসিন্দা দেখে স্থানীয়রা সোচ্ছার হন। ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য তাকে এ ইউনিয়নের স্থায়ী বা অস্থায়ী বাসিন্দা নয় বলে জানিয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষক সমিতিও ভূয়া শিক্ষক নিয়োগ ঠেকাতে তৎপর রয়েছে। চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারি এ ঘটনায় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৪ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিয়ানীবাজার উপজেলায় ৮১জন পরীক্ষার্থী পাস করেছেন। তাদেরকে আগামী ৩ অক্টোবর জেলা শিক্ষা অফিসে যোগদান করতে বলা হয়েছে। এরমধ্যে অভিযুক্ত সৌরভকে উপজেলার বিলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। সূত্রমতে, এখনো উপজেলায় ত্রিশের অধিক সহকারি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।

এদিকে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ফরিদুল ইসলাম সৌরভকে ‘জাল শিক্ষক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। মিথ্যা তথ্য দিয়ে উত্তীর্ণ সৌরভকে মহান এ পেশায় নিয়োগ এবং পদায়ন না করার অনুরোধ করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুদ্দিন জাফরী। প্রয়োজনে শিক্ষক সমাজ তার পদায়ন ঠেকাতে রাজপথে আন্দোলন করবে, এমন ঘোষণাও দেন শিক্ষক নেতা জাফরী।

অপরদিকে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক ফরিদুল ইসলাম সৌরভের কাগজপত্র ঘেটে দেখা যায়, তিনি শেওলা ইউনিয়নের তেরাদল গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং মো. খোরশেদ আলমের পুত্র। অথচ তার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন শেওলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহুর উদ্দিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল বাছিত চৌধুরী ও হেলাল আহমদ। শিক্ষক সৌরভ তাদের ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডের বাসিন্দা নয় উল্লেখ করে এ তিন জনপ্রতিনিধি গত রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে তথ্য গোপন ও নাগরিক সনদ জালিয়াতি আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পদায়ন না করার দাবী জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. উবায়দুল্লাহ লিখিত অভিযোগ পাবার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। এতে সভা-সমাবেশের প্রয়োজন পড়বে না।