বিয়ানীবাজার উপজেলার প্রথম করোনা রোগীর ঘনিষ্ট সংস্পর্শে থাকায় করনায় আক্রান্ত হয়েছেন ওই বাসার কেয়ারটেকার (৪৫)। পরে দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়ায় এলাকায় শনাক্ত হওয়া দ্বিতীয় করোনা রোগীর সংস্পর্শে থাকা ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত বিশেষায়িত ল্যাবে প্রেরণ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বশীলরা। নমুনার মধ্যে আছে এসব ব্যক্তিদের শরীরের রক্ত, ঘাম ও মুখের লালা।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দিনভর তাদের নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু ইসহাক আজাদের নেতৃত্বাধীন একটি বিশেষ টিম। এ টিমে রয়েছেন হাসপাতালের এমওডিসি ডাঃ জীবনানন্দ দেব রায়, এমটিইপিআই তপনজ্যোতি ভট্টাচার্য, ল্যাব টেকনিশিয়ান সুজন অহির ও ওয়ার্ড বয় আকিভ আলী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা প্রথম পজিটিভ অর্থাৎ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী আকবর হোসেন সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। পেশায় স্বর্ণের কারিগর ওই যুবকের সংস্পর্শে থাকা ওই বাড়ির কেয়ারটেকারের নমুনা সংগ্রহ করে গত ২৬ এপ্রিল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার কেয়ারটেকারের করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসায় তার বসতবাড়িসহ আশপাশের আরও দুটি বাড়িকে লকডাউন করা হয়।

অন্যদিকে, এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিয়ানীবাজার থেকে মোট ৭৮টি নমুনা ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১টি রিপোর্ট নেগেটিভ ও দুটি পজেটিভ রিপোর্ট আসে, অন্য ৪৫টি রিপোর্ট অপেক্ষমান রয়েছে।

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু ইসহাক আজাদ বলেন, টাঙ্গাইলফেরত স্বর্ণের কারিগর ওই যুবকের সংস্পর্শে থাকায় কেয়ারটেকার করনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পরে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়াতে আক্রান্ত যুবকের বাড়ি লকডাউন ও রোগীকে সিলেট শহীদ সামসুদ্দীন আহমদ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া ওই যুবকের সংস্পর্শে থাকা ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত বিশেষায়িত ল্যাবে প্রেরণ করেছি।

‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন-