মাদ্রাসা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলায় দুই যুবক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহতদের জরুরী ভিত্তিতে ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। আহতরা হলেন বিয়ানীবাজার উপজেলার চন্দগ্রামের কামাল মিয়ার পুত্র মাসুম আহমদ ও মঞ্জুর আহমদ। বুধবার রাত্রে সাড়ে ১১টার দিকে বিয়ানীবাজার জামান প্লাজাস্থ রায় জুয়েলার্সের সামনে এই ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে ও আহতদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, কয়েক মাস পূর্বে বড়লেখার চান্দগ্রাম ফাজিল মাদরাসার নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধের জের ধরে মাদরাসার উপাধ্যক্ষ ওহিদুজ্জামান চৌধুরী ও আরবী প্রভাষক আসহাব উদ্দিনের ইন্ধনে উক্ত হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানান আহতদের স্বজনরা। তারা বলেন-বুধবার রাত্রে ১১টার দিকে বিয়ানীবাজার জামান প্লাজায় ঈদের শপিং করতে যান উপজেলার চন্দগ্রামের কামলা মিয়ার দুই পুত্র মাসুম আহমদ ও মঞ্জুর আহমদ।

এই সময় উপজেলার আব্দুল্লাহপুরের এবাদ মিয়ার পুত্র কামরান হোসেন, নোয়াগাওয়ের জুবের আহমদ ও হাবিব আহমদ এবং শ্রীধরার রায়হান, চান্দগ্রামের হেলাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, সামাদ হোসেন, জাফর আহমদ, মাহফুজ আহমদ, সাজু আহমদ ও রিপন আহমদের নেতৃত্বে একদল সশ্বস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত জনতা এসে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তারা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।

হাসপাতাল থেকে ফিরে মামলা করবেন বলে জানান তাদের স্বজনরা। আহতরা জানান, হামলার সময় তাদের কাছে থাকা দুটি দামি মোবাইল, একটি ব্রেসলেট ও নগদ ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চান্দগ্রাম এইউএ ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওহিদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো বিরোধ আমাদের মাদ্রাসায় নেই। প্রিন্সিপালের সাময়িক বহিস্কার নিয়ে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল, এটি মামলাধীন রয়েছে। বুধবার বিয়ানীবাজারের জামান প্লাজায় সৃৃষ্ঠ মারামারির ঘটনা সম্পর্কে আমি মোটেই অবগত নই, কে বা কারা এসব করেছে আমি তাদেরকে চিনি না। আমার বিরুদ্ধে আনীত ইন্ধনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে।

আরবি প্রভাষক মাওলানা আছহাব উদ্দিন বলেন, এঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমাকে হেয় করা জন্য কোন কুচক্রিমহল রটিয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে মূল হোতারা বেরিয়ে আসবে।