বিয়ানীবাজারে তুচ্ছ জের ধরে ট্রাক ও অটোরিক্সা শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ৫০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের শেওলা এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কে আধ ঘন্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ ছিল।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে সংঘর্ষ ও উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

জানা গেছে, বিয়ানীবাজারগামী একজন সিএনজি অটোরিক্সা চালক একটি শিশুকে কোলে নিয়ে বেপরোয়া ড্রাইভ করছিলেন। এতে সঠিকভাবে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেন কামাল হোসেন নামে এক ট্রাক চালক । এতে সিএনজি অটোরিক্সা চালক ও গাড়িতে থাকা আরো দুইযাত্রী ক্ষ্রিপ্ত হয়ে উঠেন। এসময় মাঝ রাস্তায় গাড়ি রেখে রাস্তা বন্ধ করে দেন সিএনজি অটোরিক্সা চালক। এতে দুই যান চালকের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তিতে রূপ নেয়। এমন সময় সিলেট সম্মেলন থেকে বাস যোগে বিয়ানীবাজার ফিরছিলেন কয়েকজন সিএনজি অটোরিক্সা চালক।  তাদের উপস্থিতির খবরে গুজব উঠে তারা সংর্ঘষের জন্য সেখানে জড়ো হয়েছেন। খবর পেয়ে ট্রাক চালকের পক্ষে দ্রুত সেখানে জড়ো হন বেশ কয়েকজন। এতে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে  উভয়পক্ষের কামাল হোসেন, আমির হোসেন, বক্কর, জয়নুল, নুর আলম, রনি, ইসলাম উদ্দিন, ফরিদ আহমদ, সাপলু, মন্নান, কাউছারসহ প্রায় অর্ধ শত ট্রাক, সিএনজি অটোরিক্সা, বাস চালক ও হেল্পার আহত হন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে সিএনজি অটোরিক্সা ও ট্রাক চালক শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলে ঘটনা সংশ্লিষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিল্লোল রায় বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। একইসাথে যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।  এ ঘটনায় কেউ এখনো থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। আমরা অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বিয়ানীবাজারের শহীদ টিলা-বড়দেশ-মনটেকা রাস্তার বেহাল দশা