ঈদুল আজহা বা কুরবানির ঈদের আর মাত্র ৫ দিন বাকি। এরই মধ্যে হাটে পশু ওঠতে শুরু করছে। তবে বেচা-বিক্রি তেমনটা শুরু হয়নি। হাটে দর্শক আছে। ক্রেতা নেই। এদিকে অনলাইনেও কোনও সাড়া মিলছে না ক্রেতার। এমন পরিস্থিতিতে বেশ দুঃশ্চিন্তায় বিয়ানীবাজারে পশুর খামারি আর পাইকাররা।

বিয়ানীবাজার উপজেলার বারইগ্রাম, বৈরাগীবাজার, চারখাই, রামধা বাজার, দুবাগ বাজার, সারপার বাজার, দাসউরা বাজার, মাথিউরা ঈদগাহ বাজারে কোরবানির ঈদকে উপলক্ষ করে বেচাকেনা জমে ওঠে। এবার অবশ্য করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনো এসব হাটে বেচাকেনা জমেনি।

হাটে গরু নিয়ে আসা সুহেল আহমদ নামের এক বিক্রেতা জানান, বাজারে প্রচুর গরু উঠেছে। ক্রেতারা দাম বেশি মনে করছেন বলে বেচতে সমস্যা হচ্ছে।

গত বছরের তুলনায় এবার দাম অনেকটা বেশী। পছন্দ অনুযায়ী গরু অপেক্ষায় রয়েছেন ক্রেতারা। আব্দুস সামাদ নামের এক ক্রেতা জানান, কোরবানি করা ওয়াজিব। দাম সাধ্যের বাইরে হলেও এটি দরকারি বলে কিনতে হলো।

বিয়ানীবাজার উপজেলার সবচেয়ে বৃহৎ গরুর হাট পৌরশহর এলাকায় বসে। স্বাস্থবিধি মেনে এবার দুটি স্টেডিয়ামে হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পৌরসভা। তবে এটি সাধারণত ঈদের ৩-৪ দিন পূর্ব থেকে শুরু হয়।

প্রধান প্রধান হাটগুলোতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের একটি ভেটেনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে বলে জানান প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, বিয়ানীবাজারে কোরবানির পশুর প্রধান প্রধান হাটগুলোতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের একটি ভেটেনারি মেডিকেল টিম কাজ করবে৷ কোরবানীর পশু সুরক্ষিত রাখতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, হাটে যাতে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) ভাইরাস আক্রান্ত কিংবা অবৈধ উপায়ে মোটাতাজা করা পশু যাতে বিক্রি না করা হয় সেদিকেও আমরা লক্ষ্য রাখবো।

বিয়ানীবাজারে এখনো জমেনি কোরবানির হাট!