বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের অবহেলায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৩ জুন সন্তান জন্ম দেয়ার পর চিকিৎসকদের অবহেলায় প্রসূতির শারিরীক অবস্থার অবনিত ঘটলে তাকে সিলেট নেয়ার পথে মৃত্যু ঘটে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার নেয়ার জন্য প্রসূতির স্বামী সুমন আহমদ বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন।

প্রসূতি চিকিৎসায় কোন ত্রুটি ছিল না জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, ৮জন চিকিৎসক দুই ঘন্টা চেষ্টা করেছেন প্রসূতি রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে। চিকিৎসকরা নিজ দায়িত্বে হাসপাতালের বাইরে থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রি সংগ্রহ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় প্রসূতির শরীরের তিন ব্যাগ রক্তও দেয়া হয়। তিনি বলেন, কোন অবস্থায় চিকিৎসকদের অবহেলার বিষয়টি মানা যাবে না। উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে যেসব সুবিধা থাকে তার সর্বোচ্চ দিয়ে আমরা চেষ্টা করেছি। নিজ দায়িত্বে বাইরে থেকে অন্যান্য সামগ্রি সংগ্রহ করেছি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য- প্রসূতিদের বেলায় এ রকম ঘটনা হাজারে একটা ঘটে থাকে। আর এ রকম কিছু ঘটলে সেটা রোগীর জন্য মারাত্মক হয়ে ওঠে। কোন চিকিৎসকের পক্ষে সেটি সামাল দেয়া সম্ভব হয় না।

জানা যায়, গত ২৩ জুন উপজেলার মোল্লাপুর ইউনিয়নের কাছাটুল এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মুছলেখ উদ্দিনের কন্যা জুলি বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন। হাসপাতালে ভর্তি করার পর তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। সন্তান জন্মের পর প্রসূতির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। জলি বেগমের স্বামী অভিযোগ করেন, ডাক্তাররা যথাসময়ে ব্যবস্থা নিলে তিনি বেঁচে যেতেন। এ বিষয়ে জলি বেগমের স্বামী সুমন আহমদ ২৬ জুন বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আরিফুর রহমান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে আমি সংলিষ্টদের সাথে আলাপ করেছি। তারা আমাকে অবহিত করেছেন। এতে কোন অবহেলার বিষয়টি ওঠে আসেনি। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিষয় হওয়ায় এ অভিযোগটি আমি সিলেটের সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেব। তারা তদন্ত করলে সঠিক কারণ নির্ণয় করতে পারবে।