বিয়ানীবাজারে গৃহকর্মী হত্যার দায়ে গ্রেফতার উপজেলার লাউতা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুমিনুল ইসলাম রুমনের ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতে বিয়ানীবাজার থানার এসআইেএবং এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিজুস কান্তি রায় রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাকে আগামী বৃহস্পতিবার বিয়ানীবাজার থানায় রিমান্ড আনা হতে পারে বলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

গত ২৩ জুন দিবাগত রাতে ইউপি সদস্য মুমিনুল ইসলাম রুমনের নিজ বাড়ি ইউনিয়নের কালাইউরা থেকে গৃহকর্মীর রেশম বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় রুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করে।

গৃহকর্মী রেশম বেগমকে (৪৫) হত্যার অভিযোগে তার চাচা আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে ২ জনকে আসামি করে ২৪ জুন বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা (০৬/২৪-০৬-১৭) দায়ের করেন। পুলিশ আটককৃত রুমনকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। মামলায় ইউপি সদস্য মুমিনুল ইসলাম রুমন ও তার স্ত্রী ফারহানা বেগমকে আসামি করা হলেও এ মামলার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে রুমনের শ্বাশুড়িকে আটক কেরে পুলিশ জেলহাজতে প্রেরণ করে। রুমনের স্ত্রী মামলার আসামী ফারহানা বেগম এখনো পলাতক রয়েছেন বলে জানান তদন্তকারি কর্মকর্তা নিজুস কান্তি রায়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের দিঘলভাগ এলাকার মৃত মন্তাজ আলীর কন্যা রেশম বেগম চার মাস পূর্বে ইউপি সদস্য মুমিনুল ইসলাম রুমনের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজে যোগ দেন। শুক্রবার (২৩ জুন) ভোরে তার মৃত্যু হলে  ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে নিহত গৃহকর্মীর স্বজনরা সন্ধ্যার দিকে বিয়ানীবাজার থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ জব্দ করে। এসময় গৃহকর্তা ইউপি সদস্য রুমনকে পুলিশের অনুমতি ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে সহকারি পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) মস্তাক সরকার ঘটনাস্থলে আসার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করা হয়।

সুরতহাল সম্পন্ন করা পুলিশ কর্মকর্তা বলেন- লাশের ডান হাতের বাহুর পেছন দিকে একটি আঘাতে পচন ধরেছে। শরীরে একাধিক স্থানে রয়েছে আঘাতে চিহ্ন। অন্য হাতের আঙ্গুলের কাটা অংশে সেলাই রয়েছে।

বিয়ানীবাজার থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আদালতে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ৩দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এ হত্যার পুরো রহস্য উদঘাটন করতে রুমনকে আগামী পরশু রিমান্ডে আনা হবে।