বিয়ানীবাজারের কুশিয়ারা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে গ্রামের রাস্তা, কবরস্থান। ঝুঁকির মধ্যে জামে মসজিদ, কালবার্ট ও ২৮টি পরিবারের বসত ঘর। রাস্তা হারিয়ে উপজেলা সদর ও ইউনিয়ন পরিষদের সাথে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন কয়েক গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। যাতায়াত দুর্ভোগে পড়েছেন আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর মাদ্রাসা, আঙ্গুরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কুড়ার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গুরা মোহাম্মদ পুর এলাকায় গত এক সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করে নদী ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করে। এরই মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকটি গ্রামের একমাত্র যোগাযোগ রাস্তা, কবর স্থান। নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে দিন পার করছেন গ্রামের ২৮টি পরিবারের লোকজন, জামে মসজিদ, শাহী ঈদগাহ ও একটি কালবার্ট। প্রায় ৩শত ফুট এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেয়ায় এলাকাবাসী শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। একই সাথে চরম আকার ধারণ করেছে যাতায়াত দুর্ভোগ। কয়েক কিলোমিটার পথ হেঁটে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় আসতে হচ্ছে। একই দুর্ভোগ পড়তে হচ্ছে উপজেলা সদরে যাবার সময়ও।

সরেজমিনে গিয়ে বুধবার দেখা যায়, ফাড়ির বাজার থেকে সেলো মেশিনের জন্য তেল নিয়ে সাইকেলে করে যাচ্ছেন আব্দুল আহাদ। ভাঙ্গন এলাকায় তিনি সাইকেল কাদে ও তেলের বোতল হাতে নিয়ে পার  হওয়ার এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয়। আহাদ বলেন, চারদিন আগেও রাস্তা ভাল ছিল। এখন পুরো রাস্তা নদীর পেটে।

গত সোমবার ভাঙ্গন এলাকা পারাপারের সময় দুর্ঘটনায় পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দা তজম্মুল আহমদ। তিনি বলেন, বিকালে রাস্তাটি চলাচল উপযোগী ছিল। রাতে ফাড়ির বাজার আসার পথে মোটর সাইকেল নিয়ে ছিটকে পড়ে যাই। এই কয়ের ঘন্টার মধ্যে রাস্তাটি ভেঙ্গে কয়েকফুট নিচের দিকে দেবে গেছে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আঙ্গুরা মোহাম্মপুর এলাকার বাসিন্দা খালেদ আহমদ বলেন, বিষয়টি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু: আসাদুজ্জামানকে অবহিত করা হলে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের এক সহকারি প্রকৌশলী পরিদর্শনে করেছেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে নদী ভাঙ্গন ঠেকানো না গেলে এলাকার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, নদী ভাঙ্গন থেকে রাস্তা রক্ষা করতে আমরা বাঁশ দিয়ে আড়া দিলেও কোন কাজ হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু: আসাদুজ্জামান বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অফিসের একজন সহকারি প্রকৌশলীকে সরেজমিন পরিদর্শনে পাঠিয়েছি। তাকে এবিষয়ে প্রতিবেদন তৈরী করতে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের  সভায় বিষয়টি উত্থাপন করবো এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট অফিসকে বিষয়টি অবহিত করবো।