বিয়ানীবাজারের মুড়িয়া ইউনিয়নে নেয়াগ্রাম থেকে উদ্ধারকৃত লাশের পাওয়া গেছে। আত্মহত্যাকারি বৃদ্ধের নাম কালাম আহমদ (৫৫)। চাঁদপুর জেলার মৃত সাদ উদ্দিনের ছেলে। পুলিশের ধারণা- মানসিক সমস্যা ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে তার বিরোধ থেকে সে আত্মহত্যা করতে পারে। পুলিশ লাশের সরত হাল সম্পন্ন করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট প্রেরণ করে।

বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক জাহিদুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেন। এসময় তার পকেটে ৪৪০ টাকা, এক পকেট সিগারেট ও একটি ম্যাচ পাওয়া যায়। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল সম্পন্ন করার পর এ পুলিশ পরিদর্শক ধারণা করেন, কালাম আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসার পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

জানা যায়, আত্মহত্যাকারি কালামের বাড়ি চাঁদপুরে। চাঁদপুরে তার ২ মেয়েসহ প্রথম স্ত্রী রয়েছে। এদিকে পারিবারিক সূত্রে সারপারের সাতলপারেেআসা যাওয়ার সুবাদে সে ওই গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে সুলতানাকে বিয়ে করে। দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ থাকায় কিছুটা মানসিক সমস্যা ভোগছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। বুধবার ২ টার দিকে সে সারপার বাজার থেকে ডিম কিনে সাতলপাড়ে যাওয়ার পথে বিকাল তিনটার দিকে সড়কের পার্শ্ববর্তী আকাশমনি গাছে পরনের লুঙ্গি ও শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যায় তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

কালামের ভাই (সৎ) মঈন উদ্দিন বলেন, কালাম মাঝে মাঝে মাকে দেখতে সারপার আসতো। সে সবার চেয়ে কিছুটা আলাদা ছিল। মাঝে মাঝে চুল দাঁড়ি রাখতো, আবার কিছু দিন পর কেটে দিত।

বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) জাহিদ আহমদ বলেন, কালামের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার মুখ দিয়ে লালা ঝরতে ছিল। তার মানসিক রোগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।