বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক থেকে মাটি পড়ে বারইগ্রাম-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কের ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া অতিরিক্ত কুয়াশায় সড়ক পিচ্ছিল ও কর্দমাক্ত হয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, নীতিমালার তোয়াক্কা না করে বারইগ্রাম-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক, বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ ফিডার রোড, বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর-বহরগ্রাম সড়ক, বিয়ানীবাজার-সারপার সড়ক, বৈরাগীবাজার-তক্তারপুল সড়ক দিয়ে টানা হচ্ছে ইট ভাটার মাটি। বৃষ্টি হলেই সড়কে ঝরে পড়া মাটি পিচ্ছিল হয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলার ১১টি ইটভাটার মধ্যে ১টি অটোভাটাসহ ৬টি ইটভাটা রয়েছে বারইগ্রাম-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে। এসব ইটভাটার মালিকেরা বর্ষা মৌসুমের কথা মাথায় রেখে ইট তৈরির জন্য ফসলি জমির মাটি কেটে এনে সড়কের পাশে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে এসব মাটির স্তুপ থেকে মাটি ধুয়ে সড়কের ওপর এসে পড়ে। এ কারণে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। প্রতি বছরই এ আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী, ছোট যানবাহন, মোটরসাইকেল আরোহী এবং পথচারীরা মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হন এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

বিয়ানীবাজার-চন্দরপুর সড়কের পাশে তিলপাড়া অংশের স্থাপিত ইটভাটার মাটি সড়ক ঘেঁষে রাখা হয়েছে। ওই ভাটায় ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার মাটির স্তুপ রয়েছে। মাটি টানার সময় ট্রাক থেকে মাটি উপচে সড়কের ওপর পড়ে এবং ট্রাকের চাকায় লেগে থাকা মাটি সড়কে লেপ্টে ইটভাটার সামনের উভয় দিকের প্রায় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত সড়কে মাটির আস্তরণ পড়ে আছে। এতে সড়কের বিটুমিন উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে সড়ক দুর্বল হয়ে পড়ছে। এসব মাটি অপসারণে ওই ভাটা সংশ্লিষ্টদের কোন প্রদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি।

সমকাল সুহৃদ সমাবেশ বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন আজাদ জিসান বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত এবং প্রচলিত আইন মেনে ভাটা পরিচালনা করা উচিত। ভাটায় সরবরাহকৃত মাটি রাস্তায় পড়ে রাস্তার যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমন সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট লিখিত অভিযোগ দিলেও এ ব্যাপারে কোন প্রদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

সম্প্রতি এ প্রতিবেদক বিষয়টি নিয়ে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মাহবুবের সাথে আলাপ ইউএনও বলেন, আমি উপজেলার সকল ভাটা মালিকদের ডেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছি। ট্রাকে মাটি টানার সময় ঢেকে রাখতে বলেছি। ভাটার সামনের সড়কে পড়ে থাকা মাটি প্রতিদিন অপসারণের জন্য ভাটা মালিকদের নির্দেশ দিয়েছি। কোনো ভাটা মালিক এ নির্দেশনা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এই বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে কিনা জানতে ইউএনও’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

বিয়ানীবাজারে অটোরিকশা চুরির পর বিক্রি ।। চোরচক্রের ৩ সদস্য কারাগারে