বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে গত ২৭ মে পাঠানো ২৭ জনের করোনা নমুনার মধ্যে ২৫ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব থেকে ২৫টি রিপোর্ট নেগেটিভ বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে জানানো হয়েছে। নেগেটিভ আসা সকলেই হলেন ডা. শিব্বির আহমদ সোহেলসহ ফতেহপুর গ্রামের করোনা পজেটিভ রোগী রেদওয়ান আহমদের পরিবারের সদস্য। শনিবার (৩০ মে) সাড়ে ৮টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিয়ানীবাজার হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু ইসহাক আজাদ।

ডাঃ আবু ইসহাক আজাদ জানান, এ পর্যন্ত মোট ২১৯ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৮৫ জনের ফলাফল এসেছে। যার মধ্যে ১৭৫ জনের নেগেটিভ এবং ১০ জনের নমুনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। তবে পজেটিভ শনাক্ত হওয়া প্রথম পাঁচজনই করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়িতে রয়েছেন। তিনি বলেন, তবে এখনও অপেক্ষমাণ রয়েছে আরও ৩৪টি রিপোর্ট।

তিনি আরও জানান, নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে ফতেহপুরের রোগী রেদওয়ান আহমদের শরীরের করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ নেই। তিনি সুস্থ রয়েছেন। খাসাড়ীপাড়ার রোগী আলী আহমদ কুনু মিয়ার জ্বর, শরীর ব্যাথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি উপসর্গ রয়েছে। তিনিই উপজেলার একমাত্র উপসর্গযুক্ত রোগী। করোনা আক্রান্ত মোল্লাপুরের রোগী রহিমা বেগমও মোটামুটি ভালো। ৯ বছর বয়সী নালবহরের রোগী সায়েম আহমদও উপসর্গবিহীন। সেও সুস্থ রয়েছে। পজেটিভ শনাক্ত হওয়া সকলকেই বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এদিকে, হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে কোন কোন সন্দেহভাজন নারী-পুরুষ। তবে বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের বাড়িতে সম্প্রতি আরও ৩৭ জন সন্দেহভাজন বেড়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৯৬ জন নারী-পুরুষ।

‘এবি টিভি’র সর্বশেষ প্রতিবেদন