করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। সব ধরনের কর্মস্থলে, বাজার-বিপণি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উপাসনালয়, গণপরিবহন, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং রাস্তায় পথচারীদেরও এখন থেকে এ নিয়ম মেনে চলতে হবে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে এই আদেশ জারি হয়। কারা কীভাবে এই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে।

কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারির পরও মাক্স পরছেন না শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ। বিয়ানীবাজারে কোথাও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানার বালাই নেই। রাস্তা-ঘাট, দোকানপাট, বাজার, পাড়া, মহল্লা সবখানে যে যেভাবে পারছে চলাফেরা করছে। যারা কিছুটা হলেও স্বাস্থ্যসচেতন এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন।

কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হেন্ড স্যানিটাইজার এর ব্যবস্থা রাখতে দেখা গেলেো। তা ব্যবহার করছেন না কেউ। অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক। চায়ের স্টল, মুুদি দোকান সর্বত্রই মানুষের ভিড়। নেই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার তাগিদ। সর্বত্রই যেন আইন না মানার প্রবণতা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালমান রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন অফিস চলাকালীন সময়ে মাক্সবিহীন অসচেতন ব্যক্তিকে সেবা প্রদান থেকে বিরত থাকবে।

বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর জানান, পুলিশের টিম নিয়মিত তদারকি করছে। এ জন্য জনগণকেও সচেতন হতে হবে।

করোনার মতো ভয়ঙ্কর ব্যাধিকে মোকাবিলা করতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই বলছেন বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী।

লোকজনের এমন অবাধ বিচরণের ফলে বিয়ানীবাজারে দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। উপজেলা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২শত পেরিয়েছে। আর প্রাণহানি হয়েছে ৯ জনের।

মাস্ক পরেন না বিয়ানীবাজারের ৯০ ভাগ মানুষ