আর মাত্র ৫দিন পর ঈদুল আযহা। আগামী ১২ আগস্ট মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃহৎ উৎসব (কোরবানির ঈদ) অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে সরকার নির্ধারীত হাট-বাজার ছাড়াও পাইকারদের বাতান, লোক সমাগম ঘটে এরকম মোড়ে মোড়ে বসেছে গরুর হাট। কিন্তু ক্রেতার সমাগম না থাকায় বিক্রি হচ্ছে তুলনামুলক কম।

বিয়ানীবাজার উপজেলার রামদা, দুবাগ, বৈরাগী, বিয়ানীবাজার, বারইগ্রাম, মাথিউরা বাজার ও দাসউরা বাজার সহ বেশে কয়েকটি নির্ধারীত হাট ছাড়াও উপজেলার লোকসমাগম ঘটে এরকম মোড়, রাস্তায় বসেছে পশুর হাট। প্রত্যেক বিকাল বেলা এসব হাট বসলেও আগামী কাল থেকে সকাল থেকে হাট বসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এছাড়া হাট বেঁধে ইজারা ফি (ছিট) পৃথক থাকায় ক্রেতাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

মঙ্গলবার দাসউরা সিনিময়র মাদ্রাসা মাঠের গরুর হাটে প্রচুর গরু থাকলে বিক্রি তেমন হয়নি। বিক্রি হওয়া একেকটি গরুর জন্য ইজারা মাসুল (ছিট) এক হাজার নির্ধারণ করা হয়। তবে আশানুরূপ গরু বিক্রি না হওয়ায় অনেকেই সন্ধ্যার সাথে সাথে গরু নিয়ে বাজার ছেড়ে চলে যান।

কোরবানির জন্য পছন্দের পশু (গরু-ছাগল) ক্রয় করতে হাট-বাজারে ক্রেতার কম উপস্থিতি ভাবাচ্ছে না ব্যবসায়ীদের। এখনো আরো পাঁচ দিন রয়েছে জানিয়ে বিক্রেতা আলী হোসেন বলেন, বাজারের অবস্থা দেখে নিজেদের প্রস্তুতি করে নিচ্ছেন ক্রেতারা। এছাড়া পছন্দের পশুর সাথে নিজেদের সক্ষমতার বিষয়টি যাচাই করছেন। আমাদের আশা আগামীকাল বুধবার থেকে আশানুরুপ গরু বিক্রি করতে পারবো।

কোরবানির জন্য গরু কিনতে আসা মাথিউরা আব্দুল হাই বলেন, পছন্দের গরু প্রচুর রয়েছে। আমার পছন্দ দেশীয় গরু কিন্তু দাম বেশি চড়া হওয়ায় বেগ পেতে হচ্ছে। আজ কিনতে পারিনী- হয়তো বাজারের দশ কাল পরশুর মধ্যে কমে আসলে তখন চাহিদার মতো কিনতে পারবো।

বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রনজিৎকুমার আচার বলেন. বিয়ানীবাজারে ২০ হাজার পশুর চাহিদা রয়েছে। গরু ও ছাগলের পাশাপাশি উপজেলার কিছু এলাকায় মহিষ কোরবানি দেয়া হয়। তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গরুর প্রতি মানুষের চাহিদা বেশি। তবে যেহারে ভারত থেকে গরু আমদানি হয়েছে তা চাহিদার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। শেষ পর্যন্ত গরুর বাজার গত বছরের মতো পড়ে যেতে পারে বলে তিনি শংকা প্রকাশ করেন।