বিয়ানীবাজারে পজেটিভ শনাক্ত হওয়া এক স্বাস্থ্যকর্মীর সংস্পর্শে থাকায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছিলেন উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু ইসহাক আজাদ, মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইফাজ সামিহ ও ডাঃ আফরা আনান মৃদু। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে বিয়ানীবাজারের ৬জনের শরীরের করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এর মধ্যে সঞ্জয় বিশ্বাস (৩৬) নামের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন ওয়ার্ডবয়েরও করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। সঞ্চয় বিশ্বাস করোনা নমুনা সংগ্রহকারী টিমের একজন সদস্য হওয়ায় দায়িত্ব পালনকালে ওই তিন চিকিৎসক সঞ্জয়ের প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে থাকায় গত মঙ্গলবার দুপুরে একই হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে তারা নমুনা দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু ইসহাক আজাদ বলেন, আমাদের স্যাম্পল কালেকশন টিমের সঞ্জয় বিশ্বাসের পজেটিভ শনাক্ত হওয়ায় প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে থাকার কারণে আমিসহ হাসপাতালের আরও দুই চিকিৎসক পরীক্ষার জন্য ল্যাবে নমুনা দিয়েছিলাম। ফলাফল না আসা পর্যন্ত আমরা তিনজনই কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করি। তিনি আরও বলেন, রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় আমরা আবারও বিয়ানীবাজারবাসীকে বৈশ্বিক মহামারী করোনার ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার লড়াইয়ে কর্মস্থলে যোগদান করে কাজ শুরু করবো। আমরা সকলেই বিয়ানীবাজারবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা প্রত্যাশী।

দুঃসময়ে অসহায়দের সেবা দিচ্ছে বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতাল