বিয়ানীবাজারে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গুচ্ছগ্রাম করার উদ্যোগের প্রতিবাদ জানিয়েছেন গ্রামবাসী। গ্রামের মধ্যে গুচ্ছ গ্রাম কিংবা আশ্রয়ন প্রকল্পের স্থাপনের খবরে উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরিয়ামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রোববার সকালে গ্রামবাসী প্রতিবাদ সভায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

দক্ষিণ চরিয়ার একটি খাস জমিতে উপজেলা প্রশাসন গুচ্ছগ্রাম করার প্রক্রিয়া শুরু করলে গ্রাবাসী তার প্রতিবাদ জানান। সরকারের ১ খতিয়ানভুক্ত এ খাসজমি অবৈধ দখল মুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসনের কয়েকবার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কয়েকবার পারস্পারিক আলোচনার মাধ্যমে অবৈধ দখল মুক্ত করার চেষ্টা নিষ্ফল হওয়া প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবৈধ দখল মুক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রোববার জেলার আইন শৃঙ্খলা সভায় এ বিষয়টি উপস্থাপন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার। তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোপালগঞ্জে একটি প্রশিক্ষণে রয়েছেন। নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মস্থলে আসার পর জায়গাটি অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে।

এদিকে গত শনিবার প্রশাসনের লোকজন খাসজমিতে গুচ্ছগ্রাম তৈরীর নকশা করতে গেলে গ্রামবাসী বাধা প্রদান করেন। বাঁধা পেয়ে ভূমি অফিসের কর্মকর্তা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তারকে অবহিত কলেও দক্ষিণ চরিয়া গ্রামের ঘটনাস্থলে ছুটে যান থানা পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের উপস্থিতে খাস জমিতে পুনরায় কাজ করতে গেলে গ্রামবাসীর বাধা মূখে পড়ে তারা ফিরে আসেন।
এদিকে গত রোববার সকালে দক্ষিণ চরিয়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্টিত হয়। ইউপি সদস্য আব্দুল মুকিতের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগ নেতা লায়ন পারভেজ আহমদের সঞ্চালনায় সভায়মের মুরব্বিয়া রাজনীতিবিদ নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন, প্রতিবাদ সভায়মবাসীর দাবিমের ভিতরের খাস জায়গার উপর আদালতে মামলা রয়েছে, এছাড়ামের আশপাশ এলাকায় অনেক খাস জমি রয়েছে সেগুলোতে গুচ্ছম করার পরামর্শ দেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, গুচ্ছম কিংবা আশ্রয়ন প্রকল্পে আমাদের আপত্তি নেই। তবে গ্রামের সুষ্ঠু সুন্দর স্বাভাবিক ও সামাজিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে গ্রামের ভেতরে গুচ্ছগ্রাম স্থাপন করতে আমাদের আপত্তি রয়েছে। প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা ইচ্ছে করলে গ্রামের বাইরে অনেক খাস জায়গা রয়েছে সেখানে করতে পারেন। একই এলাকার যুবক হুমায়ুন কবির পারভেজ বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করে আসছি। পুরো গ্রামবাসী একবাক্যে এখানে গুচ্ছগ্রাম স্থাপনের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গ্রামের সার্বিক সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছি এবং এ প্রতিবাদ করে যাবো।

প্রশাসন থেকে বহুবার সমঝোতার মাধ্যমে অবৈধ দখলমুক্ত করার চেষ্টার কথা জানিয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানিয়া আক্তার বলেন, সরকারের ১নং খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত ৬ একরের এ জায়গাটি অবৈধ দখল রয়েছে। একটি পক্ষ নামমাত্র মূল্যে অন্যজনের কাছে বিক্রি করেছে। আদালত তাদের মামলা খারিজ করেছেন। আমরা সম্পূর্ণ তথ্য প্রমাণ নিয়েই অবৈধ দখল মুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছি। শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করা হবে।