সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে বাউরভাগে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে রূপ নিচ্ছে। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে শসস্ত্র মহড়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মী নাদিমের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতভর পিতার উপর হামলার বদলা নিতে দলবল নিয়ে মহড়া চালায় নাদিম। তারা হামলাকারি আরিফের মদতদাতা ডাক্তার চুনু মিয়ার বাড়িতেও হানা দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে পাল্টা হামলার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছে শিবির কর্মী আরিফ। আত্মরক্ষার্থে আরিফের মদতদাতা ডাক্তার চুনু মিয়াও গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনাটি সুষ্ঠু নিষ্পত্তি করতে এলাকার মুরব্বিরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। বিশেষ করে হামলার শিকার বৃদ্ধ আব্দুল করিমকে সালিশ বিচারের রাজি করাতে মুরব্বিরা কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। শেষ পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের হলেও ঘটনাটি সালিশ বিচারের নিষ্পত্তি হবে বলে জানিয়েছেন এলাকার মুরব্বিরা।

এদিকে বৃদ্ধ আব্দুল করিমের লিখিত এজাহার দায়েরের পর বিয়ানীবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং অভিযুক্ত ডাক্তার চুনু মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। স্থানীয়রা জানান প্রতিপক্ষের হামলা ও মামলার ভয়ে আরিফসহ আসামীরা আত্মগোপনে রয়েছে।

বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অবনী শংকর কর বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ পরিদর্শনে গিয়ে হামলার সত্যতা পেয়েছে। হামলাকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বাউরভাগ এলাকার আব্দুল করিমের পুত্র রবিউলের সাথে শুক্রবার একই এলাকার আরিফের জুনিয়র-সিনিয়র দ্বন্দ্ব নিয়ে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটননা ঘটে। শিবির কর্মী আরিফ রবিউলের উপর ছড়াও হলে রবিউলের ভাই ছাত্রলীগ কর্মী নাদিম ঘটনাস্থলে এসে আরিফকে মারধর করে। এ নিয়ে আরিফের অভিভাবক লুকু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। বাড়ির পাশে হৈচৈ শুনে বৃদ্ধ আব্দুল করিম এগিয়ে এলে তাকে লাঞ্চিত করেন লুকু। বিষয়টি স্থানীয় সালিম বিচারের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার আশ্বাস দিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। শনিবার বাদ এশা মসজিদ থেকে আসার পথে বাউরভাগ জামে মসজিদ এলাকায় আরিফ ১০/১৫জন যুবক নিয়ে বৃদ্ধ আব্দুল করিমের উপর হামলা করে। এ সময় এলাকার মুহিব ও মাসুক হামলার হাত থেকে তাকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ১০/১৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।