বড়লেখায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রী হত্যাকারী পাষন্ড স্বামী মতছিন আলীকে পুলিশ শুক্রবার থানার সামনে থেকে গ্রেফতার করেছে। সে বিয়ানীবাজার থেকে মৌলভীবাজারের দিকে যাচ্ছিল। এর আগেই খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের জন্য ওৎ পেতে থাকে। বিকেলে পুলিশ তাকে সাথে নিয়ে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধারের অভিযান চালাচ্ছে। সে উপজেলার কলারতলি পার গ্রামের মাখই মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, পারিবারিক কলহের কারণে পান্না বেগম বাবার বাড়ি চলে গেলেও তার ৭ বছরের শিশু কন্যাকে স্বামী রেখে দেন। ইটাউরি গ্রামে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত ১০ জুন অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউপির দৌলতপুর গ্রামে পাষন্ড স্বামীর ছুরিকাঘাতে নির্মমভাবে খুন হন পান্না বেগম (৩০)। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধুর ভাই স্বামীসহ তিন জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

শাহবাজুপর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সেপেক্টর মোশাররফ হোসেন জানান, স্ত্রীকে খুনের পর মতছিন আলী বিয়ানীবাজারে পালিয়ে গিয়ে এক বাড়ীতে রাখালের চাকুরী নেয়। মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে তার অবস্থান জেনে অভিযান চালালেও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। শুক্রবার মৌলভীবাজারের দিকে পালানোর গোপন সংবাদে পুলিশ নিয়ে ওৎ পেতে দুপরে থানার সামনে তাকে গ্রেফতার করেন। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।