ডেস্ক। ০৩ জানুয়ারি ২০১৬।

গত ২৭ ডিসেম্বর কার নিয়ে সিলেট যাওয়ার পর নিখোঁজ হন বিয়ানীবাজার উপজেলার এক চালক। সে নিখোঁজ হওয়ার ৬ দিন পর দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ সোমবার বিকেলে দক্ষিণ সুরমার চান্দাই পশ্চিম ভাগ পঞ্চায়েতি টিলা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়ি ছিনতাই চক্রের হাতে খুন হন তিনি।

নিহত কার চালক নজরুল ইসলাম (২৪) বিয়ানীবাজারের দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়া এলাকার আব্দুল মন্নানের ছেলে।

জানা যায়, পুলিশ পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সহযোগিতায় পৃথক স্থানে অভিযানে চালিয়ে ছিনতাই হওয়া প্রাইভেটকার উদ্ধার এবং এর সাথে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। আটককৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নজরুলের লাশ উদ্ধার করে । লাশটি ময়না তদন্তের জন্যে ওসমানী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

প্রাইভেট কার চালক নজরুল নিখোঁজের ঘটনায় গাড়ির মালিক ও একই গ্রামের ছালেহ আহমদ বিয়ানীবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (নং-১৩১৪) করেন। তিনি ডায়রিতে উল্লেখ করেন, গত ২৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে কারচালক নজরুল ইসলাম বিয়ানীবাজার থেকে তার প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো ক ০৩-৮৭১৭) নিয়ে সিলেট শহরের দিকে যান। এরপর চালক নজরুলের সাথে মোবাইল ফোনে ওই দিন একবার যোগাযোগ হয়েছিল।

নিখোঁজের পর নজরুলের পরিবার ও গাড়ির মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তার সন্ধানে নামেন। তারা ৩১ ডিসেম্বর শনিবার সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ থেকে রাত ১০টার দিকে গাড়িসহ মাহবুব ও রাসেল নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে তাদেরকে গাড়িসহ নগরীর শাহপরাণ থানায় হস্তান্তর করা হয়। শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় নগরীর শিবগঞ্জ এলাকা থেকে গত  রবিবার (০১ জানুয়ারি) রাতে রাহুল ও ঝুমুকে আটক করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আতাউর বলেন, অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে পরিবহন শ্রমিক ও নজরুলের পরিবারের সদস্যরা লাশটি সনাক্ত করেন। বর্তমানে লাশটি হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। তদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।