গ্রামীণ জনপদের সেতু। দুই পাশে পাকা সংযোগ সড়ক। উন্নত হয়েছে যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু সেই গ্রামীণ সেতুটি এখন মারণফাঁদ। দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ায় ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে সেতুটি। প্রতিদিন দুর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে যাতায়াত করছে নানা ধরনের যানবাহন ও পথচারীরা। এমন চিত্র বিয়ানীবাজার উপজেলার গ্রামীণ জনপদের একটি সেতুর।

বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের ৭-৮টি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বরুদল নদীতে গিয়ে মিশেছে ঝরাপাতা খাল। সেই খালের দাসউরা অংশের একটি ব্রিজ নির্মিত হলে দুই পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রায় আসে আমূল পরিবর্তন। কিন্তু খাল পারাপারের একমাত্র ব্রিজটির ওপরের অংশের পাটাতনে সম্প্রতি ভাঙন দেখা দিয়েছে। পুরো সেতুটি যেকোনো মুহূর্তে মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ ব্রিজটি প্রায় ২০-২৫ বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি কিছুদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণভাবে রয়েছে এ ব্রিজটি। অনেক আগে থেকেই এই সেতুটি এখানকার স্থানীয়দের পারাপারে ব্যবহৃত হতো। এখন এ ব্রিজটির ওপর দিয়ে দৈনিক ২-৩’শ ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করে যানবাহন চলাচল করায় দিনদিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে পড়েছে ব্রিজটি। এতে করে কয়েক লাখ মানুষের যাতায়াত হুমকির মুখে পড়েছে। ব্রিজটির একটা অংশে ভাঙনের পর স্থানীয়রা বাঁশে লাল নিশান টাঙিয়ে দিয়েছেন।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, ব্রিজের একপাশে ভাঙা থাকার কারণে গত কয়েক কয়েকদিন ধরে ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনার শঙ্গকা দিয়ে প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়ে পারাপার হন। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে স্থানীয়রা। এখন ব্রিজটি নতুন করে নির্মাণ না করা হলে দুইপারের কয়েক হাজার মানুষের জীবন যাত্রা স্থবির হয়ে যাবে। দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণের দাবিও জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে তিলপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান বলেন, এই ব্রিজ স্থানীয় এলাকাবাসীর সড়ক যোগাযোগের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি সংযোগ সেতু। একটি নতুন ব্রিজের আবেদন নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দৌঁড়ঝাপ করছি যেন এই এলাকার জনদুর্ভোগ দূর হয়। তবে এই মুহুর্তে ব্রিজটি সংস্কার না করলে যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি সর্বশেষ কিছুদিন পূর্বে উপজেলা  এলজিইডি অফিসকে অবগত করলে তারা ব্রিজটি এসে পরিদর্শন করে যায়। দ্রুত এখানে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।

বিয়ানীবাজার প্রেসক্লাব নির্বাচন : সভাপতি সজীব, সম্পাদক মিলাদ নির্বাচিত