সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থেকে গণধর্ষণ মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে হুমায়ুন চত্বর থেকে উজ্জল আহমদ উজ্জল (২০) নামের ধর্ষণ মামলার এই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। সে বিয়ানীবাজার উপজেলার আদিনাবাদ গ্রামের মৃত লুবই মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, জকিগঞ্জের এক ষোড়শীকে জাবের আহমদ নামের এক যুবক মোবাইল ফোনে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিত। গত ১৮ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টায় ওই ষোড়শী বাড়ি থেকে স্থানীয় টেইলার্সের দোকানে যাওয়ার জন্য বের হন। এসময় রাস্তায় পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা জাবের নির্জন স্থান পেয়ে তার সহযোগী উজ্জল (২০) ও আসাদের (২১) সহায়তায় মেয়েকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বিয়ানীবাজারের নাটেশ্বর গ্রামের রউফনগর নামক স্থানের একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের ভেতর নিয়ে তার হাত ও মুখ চেপে ধরে আরো ৩-৪ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরবর্তীতে সে বাড়িতে এসে লজ্জায় ও ভয়ে বিষয়টি কাউকে না বলে গোপন রাখে। পূণরায় পরদিন অর্থাৎ ১৯ আগস্ট বিকেলে জাবের ও নাজেল আহমদ ওই মেয়েকে ফোন করে তাদের সাথে যাওয়ার জন্য বলে। সে যেতে না চাইলে তারা বিভিন্ন হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় এরপরদিন ২০ আগস্ট জকিগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নিযার্তন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৭/৯(৩) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয় (নং-২১)।মামলা দায়েরের পর সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনসহ জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের গ্রেফতারে থানা পুলিশ অভিযান শুরু করে।

এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১ টায় জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মো. আব্দুন নাসের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত আসামী উজ্জল আহমদ উজ্জল (২০)-কে গ্রেফতার করা হয়।

সিলেট জেলা পুলিশের (মিডিয়া মুখপাত্র) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, গণধর্ষণ মামলার ১ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।