বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪। ২২ জানুয়ারি ২০১৭।

বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর চর থেকে রাতভর ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত বালু উত্তোলন করে একটি প্রভাবশালী চক্র। এলাকাবাসী শনিবার রাতে এ বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এলাকাবাসী জানান, কুশিয়ারা নদীর আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর চরে বালু উত্তোলন করার ফলে আশপাশ এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। এরই মধ্যে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবার নিঃস্ব হয়েছেন। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়।

জানা যায়, গত কয়েক মাস থেকে একই চক্র বিভিন্নভাবে আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর চর থেকে রাতের আধাওে বালু উত্তোলন করে আসছে। শনিবার রাতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার সময় গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা স্বপন আহমদ ও আমির হোসেন মোবাইল ফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু: আসাদুজ্জামান, ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহেরকে অবহিত করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গ্রামবাসী জানান, ইউপি সদস্য রাজু আহমদ ও চৌকিদার কলিম উদ্দিনকে প্রভাবিত করে একটি বালু খেকো চক্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন। আজ রবিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত ছিল।

আঙ্গুরা মোহাম্মদপুর গ্রামের হাসনু মিয়া বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাস খানেক পূর্বে এখানে এসে বলেছিলেন কেউ বালু উত্তোলন করলে তাকে জানাতে। কিন্তু শনিবার রাতে তাকে ফোন করে জানানোর পরও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি। নদীর এ চর থেকে বালু উত্তোলন করার আগে সংশ্লিষ্টরা মাইকে প্রচারণা করে তারপর বালু উত্তোলন করবে বলে গ্রামবাসীকে আশ্বাস দিয়েছিলেন  ইউএনও। কিন্ত শনিবার রাতে বালু উত্তোলন করা হলেও কেউ প্রচারণা চালায় নি। যারা এ কাজ করেছে তাদের সাথে প্রশাসনের কোন না কোন কর্মকর্তার যোগসাজস রয়েছে। শরিফুল ইসলাম বলেন, এখানে বালু উত্তোলন করা হলে নদীর উজান ও ভাটিতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেয়। যারাই অবৈধ বালু ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হোক।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য (মেম্বার) রাজু আহমদ বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, বিষয়টি জানার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ড্রেজারের দুই মালিককে এলাকাবাসী আগে থেকেই চিনতেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু: আসাদুজ্জামান বলেন, রাতের আমার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। আমি চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। তিনি বলেন, এখন সিলেট আছি। আমি থানার ওসিকে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি।