ভেষজ উপায়ে রক্ত উৎপাদনের প্রক্রিয়া বিজ্ঞানাগারে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দুই মহাপরিচালক। বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ জহির উদ্দিনের উৎপাদিত এই পদ্ধতি নিয়ে বিগত দিনে স্থানীয় ও জাতীয় অনলাইন ও দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সব মহলে আলোচিত হয়। নজরে আসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসনের।

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি প্রভাষক জহির উদ্দিনের আবিষ্কারের বিষয়টি জেনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আবেদন করার জন্য নির্দেশনা দেন। একই সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করার এ প্রভাষকের আবেদনেও স্বাক্ষর করেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী।

সূত্র জানায়, ভেষজ উপায়ে রক্ত উৎপাদনকারী প্রভাষক মো: জহির উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধীনস্থ পরীক্ষাগারে বৈজ্ঞানিক উপায়ে পরীক্ষার নির্দেশনা (স্মারক নং ১৫১৩) দিয়েছেন। একইধরনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং রক্ত উৎপাদনের মেধাস্বত্ব নিজনামে করণের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে দাখিল করা পৃথক আবেদনেও মহাপরিচালক বিজ্ঞানাগারে তা পরীক্ষার নির্দেশ (স্মারক নং ২৩২৩৮) দেন।

ভেষজ উপায়ে রক্ত উৎপাদনের ঔষধ আবিষ্কারক জহির উদ্দিন জানান, প্রায় একযুগের বেশি সময় গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি গাছ-গাছালির নির্যাস থেকে রক্ত উৎপাদনের ভেষজ পদ্ধতি আবিস্কার করেছেন। ইতিমধ্যে বেশকিছু রোগী তার এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুফল পেয়েছেন। রক্ত উৎপাদনের এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে রোগীরা শতভাগ সফল হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। মো. জহির উদ্দিন সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার তিলপাড়া ইউনিয়নের দাসউরা গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে।

তিনি বলেন, তার উদ্ভাবিত রক্ত উৎপাদনের ভেষজ উপায়ে পাউন্ড প্রতি খরচ হবে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। এ প্রযুক্তি ব্যবহারে রোগীর শরীরে রক্ত ভরতে হবে না। বিশ্বে তিনিই একমাত্র দ্রুততম সময়ে রক্ত উৎপাদনের আবিষ্কারক বলে দাবি করেন। একজন রক্তশূন্য রোগী তাঁর উৎপাদিত ওষুধ সেবনের সঙ্গে সঙ্গেই শরীরে নতুন রক্ত উৎপাদন শুরু হবে। এজন্য তাকে অন্যকোনো ওষুধ সেবন বা যন্ত্রপাতির আশ্রয় নিতে হবে না।

বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান বলেন, ভেষজ উপায়ে অনেক রোগ নির্মূল করা সম্ভব। তবে রক্ত উৎপাদনের এ প্রক্রিয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ওষুধ প্রশাসনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ব্যবহার করা যেতে পারে।