বিয়ানীবাজারের সুপাতলার সেই মসজিদে এবার ফজরের আজান দিতে বাধা প্রদান করেন মাসুক আহমদ। খাসাড়িপাড়া গ্রামের অধিবাসী মাসুক শুক্রবার ভোর রাতে ফজরের আজান না দিতে নির্দেশ দেন মোয়াজ্জিনকে। ভয়ে মোয়াজ্জিন ফজরের আজান দেননি। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একই সাথে বাড়গছে উত্তেজনা।

গত রমজান মাসে মসজিদে সেহরী খাওয়ার আহব্বান দেয়া ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুক আহমদ সুপাতলা পূর্ব মসজিদেও মোয়াজ্জিনকে মারতে গেলে গ্রামের কয়েকজন মুসল্লিদের সাথে বাগবিত-া, হাতাহাতি ও সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন। এ সংঘর্ষে সেদিন ৫জন আহত হন।

শুক্রবার ফজরের আজান এবং মসজিদে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়নি। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানান, গত শুক্রবার ফজরের সময় মসজিদে এসে মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে নিষেধ করে গালি গালাজ করেন মাসুক আহমদ। এসময় মুয়াজ্জিনকে হুজরাখানায় রেখে বাহিরে অবস্থান নেন তিনি। আজানের জন্য বের হলে তাকে ( মুয়াজ্জিন) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন। আজান দেওয়ার জন্য নিজ কক্ষ থেকে মুয়াজ্জিন হাফিজ মিসবা উদ্দিন বাইরে বের হননি। এসময় নামাজের জন্য আসা স্থানীয় মুসল্লি লাল মিয়াকে দেখে ক্ষিপ্ত হয় মাসুক। ভয়ে তিনিও মসজিদে না এসে মাসুকের স্থান ত্যাগের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকেন। একই সময় পাশের বাড়ির জাহেদ এবং শহর আলীও নামাজের মসজিদে আসলে তাদের তিনজনকে লক্ষ্য করে মাসুক আহমদ ধাওয়া করেন। মাসুকের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসেন এ তিন মুসল্লি।

এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্র্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, থানায় মাসুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। আমরা তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গত ২ জুন রমজান মাসে মসজিদে সেহরী খাওয়ার আহব্বানকে কেন্দ্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফিজ মিছবা উদ্দিন মাইকে ঘোষণা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে মাসুক আহমদ তাকে মারতে আসেন। স্থানীয়রা এর প্রতিবাদ করলে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে ৫ জনকে জখম করেন মাসুক। এসময় প্রতিপক্ষের আঘাতে তিনিও আহত হন। পরে উপজেলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার হন সুপাতলা গ্রামের মিছবা। মাসুক আহমদের পুত্রসহ আত্মীয়রা তার উপর হামলা চালায়। এ সংঘর্ষ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।