বিয়ানীবাজারমহ পুরো সিলেটে দ্রুত গতিতে বাড়ছে চোখ ওঠা বা কনজাংকটিভাইটিস রোগীর সংখ্যা। আর এ রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ার সাথে সাথে ফার্মেসিগুলোতে দেখা দিয়েছে চোখের ড্রপের সংকট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা।

এদিকে অনেক ফার্মেসির মালিক-কর্মীরাও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসাসেবায়ও ভোগান্তি বাড়ছে।

বিয়নীবাজার পৌরশহরের প্রধান সড়কের মাঝবাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ী সাব উদ্দিন বলেন, ‘‘আমার পরিবারের প্রায় সবাই আক্রান্ত। আত্ময়ি স্বজনদের অনেকেই চোখ ওঠা রোগে কাবু। সবাই আসছেন চোখের ড্রপ নিতে কিন্তু সরবরাগ না থাকায় আমরা সেটি দিতে পারছি না। নিজের পরিবারের জন্য নিতে পারিনী।

চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত হয়ে ড্রপের জন্য প্রতিটির ফার্মেসিতে যেতে হয়েছে। ড্রপ তো পাইনি উল্টো অনেক ফার্মেসীর কর্মীদেরও চোখ উঠার সমস্যা আক্রান্ত থাকতে দেখেছি। এতে করে তারাও সেবা দিতে যেয়ে সমস্যায় পড়ছেন। এত চোখ ওঠা রোগী আগে কখনো দেখিনি- বলেন শিক্ষক তানিম আহমদ।

এ ভুক্তভোগী কথার সত্যতা যাচাই করতে সরেজমিনে কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নগরের ডাক্তার ও ফার্মেসি পাড়া খ্যাত হাসপাতাল রোড় এলাকার ফার্মেসিগুলোতেও মিলছে না চোখের ড্রপ। বেশ কয়েকটি ফার্মেসি ঘুরেও ফিরে যাচ্ছেন রোগীরা।

ফার্মেসি মালিকরা বলছেন, চোখ ওঠা রোগীর অনুপাতে ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা ড্রপ সরবরাহ করতে পারছেন না।

চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘ঋতু পরিবর্তনের কারণে এসময় চোখের রোগবালাই হয়ে থাকে। তারমধ্যে একটি হচ্ছে চোখ ওঠা। এটি আসলে একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। কনজাংটিভাইটিস বা চোখের পর্দায় প্রদাহ হলে তাকে চোখ ওঠা বলে। চোখ ওঠার মূল কারণ ভাইরাস এবং এটি অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে। তবে চোখ ওঠায় আক্রান্ত কারও চোখের দিকে তাকালে কারোর চোখ ওঠে না।

‘‘ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত চোখ কিছুদিন পর ভালো হয়ে যায় ঠিক, কিন্তু আশপাশে অনেককেই আক্রান্ত করে বা করতে পারে। তবে চোখ ওঠা রোগী মূলত সে তার নিজের জন্য সমস্যা নয়, বরং অন্যের জন্য সমস্যা। কারও চোখ ওঠা হয়তো তিন দিনে ভালো হয়ে যায়, কারোর আবার ৩ সপ্তাহ লাগতে পারে।’’

‌বিয়ানীবাজারের ঐতিহ্যবাহী মাথিউরা বাজার পুনরায় চালুর লক্ষ্যে মতবিনিময়