সিলেটের বিশ্বনাথে চাঁদাবাজি মামলায় উপজেলা যুবলীগ নামধারী নেতা শানুর আলীকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। তিনি উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মৃত মাহমদ আলীর ছেলে।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কাদিপুরস্থ ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সামনে থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে কাদিপুরস্থ‘ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’ ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ কাজ চলছে। ‘অনিক ট্রেডিং কর্পোরেশন নামে ঢাকার ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে কাজ শুরুর পর থেকেই নানাভাবে শানুর আলীর নেতৃত্বে চাঁদাবাজি চলে আসছে। কখনও স্থানীয় নামধারী সাংবাদিকদের ভয়, কখনও উপজেলা যুবলীগ নেতাদের ভয়, আবার কখনও সাঙ্গপাঙ্গদের দিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন।

হুমকি ধামকির প্রেক্ষিতে টাকার বদলে ইট, বালি পাথর, রড, সিমেন্ট দিয়ে প্রথমে শানুরকে ম্যানেজ করা হয়। আর শানুর আলী সেই ইট-বালি আর পাথর দিয়ে নিজের বসত বাড়ির রান্নাঘর পাকা করেন। এক পর্যায়ে ১০ অক্টোবর সকালে বড় অঙ্গের টাকা চাইলে ঘটনার মোড় নেয় অন্যদিকে। ওই দিন সকাল ৯টার দিকে ৫/৭জন সহযোগী নিয়ে হাসপাতালে যান শানুর। সেখানে অনিক ট্রেডিং কর্পোরেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার রাজু শিকদারকে খোঁজে বের করে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

এ সময় চাঁদা না দেওয়ায় কোম্পানির কর্মচারী হাসান আহমদ (৬০), কাহারুল (৪০), মামুন মিয়াকে (৩০) পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনায় বুধবার রাজু শিকদার বাদী হয়ে শানুর আলীকে প্রধান আসামি করে থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৮)।

মামলায় শানুর আলীর ভাই আব্দুল হক ও সহযোগী গাড়ি চালক মুহিব নামের আরও দু’জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে ওইদিন সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

তবে, ইট-বালি, পাথর, রড ইত্যাদি শানুর আলী চুরি করে নিয়েছে দাবি করে রাজু শিকদার বলেন, শুধু চাঁদা দাবিই নয়, তাদের ৩ জন কর্মচারীকে মারধরসহ তাকেও কেটে টুকরো টুকরো করার হুমকিও দিয়েছেন শানুর।