নগরীর সুবিদবাজার কর্ণার ভিউ বিল্ডিং এর সপ্তমতলার প্রথম ফ্লাটে লিজা সুলতানার মৃত্যু নিয়ে রহস্যে ক্রমেই বাড়ছে। নিহত লিজার পরিবার থেকে তার মামা বিয়ানীবাজার চারখাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ দাবি করেছিলেন, ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এই ঘটনার দিন রাতেই লিজার ভাই রোকসান লিজার শ্বশুরবাড়ীর ঔ বাসায় গিয়ে রাতেই ফিরে যান। তবে পুলিশ ও লিজার শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের দেয়া তথ্য মতে , লিজার ভাই রোকসান ও লিজা একই রুমে রাতে ঘুমান। সকালে রোকসানই ঘুম থেকে উঠে তার বোন এভাবে আত্মহত্যা করছে বলে লিজার দেবর নাজিম উদ্দিন ও তার স্ত্রীকে বিষয়টি অবহিত করেন। এছাড়া ১নং ওর্য়াড কমিশনার আব্দুল হাদি ও ৩নং ওর্য়াড কমিশনার আমজাদ হোসেন আবজাদ এর উপিস্থিতিতে কোতোয়ালি থানার ওসি গৌছুল হোসেনের কাছে বক্তব্য দেন যে, রাতে ভাই বোন একই রুমে ছিলেন। বোন খাটে আর ভাই নিচের ফ্লোরে বিচানা করে ঘুমান। সকালে উঠে দেখেন বোনের লাশ বেলকনিতে ঝুলানো। এদিকে, কোতোয়ালি থানার ওসি জানান রোকসান বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, রোকসান ঔ দিন রাতে বাসাতে ছিলো বলে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে। নিহত লিজার দেবর নাজিম আলাপকালে বলেন, আমি আর আমার স্ত্রী অন্য রুমে ছিলাম। বাসাতে ভাবি ও রোকসানসহ আমরা চারজন জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ ছিলাম ঔদিন রাতে। সকালে রোকসান এসেই আমাদের খবরটা দেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, একজন ভাইয়ের উপস্থিতিতে একই রুমে বোনকে কিভাবে হত্যা করা সম্ভব? নাজিম উদ্দিন জালালাবাদকে বলেন, লিজার মামা ইকবাল আহমদ শুরু থেকে এই বিয়েতে রাজি ছিলেন না। কখনো লিজার খোজঁও নেননি। এমনকি বিয়েতে উপস্থিতও ছিলেন না। এখন সময় বুঝে নিজের প্রভাব খাটাতে চাইছেন। এছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বিভ্রান্ত করছেন বলেও দাবি করেন নাজিম। তিনি বলেন, ইকবাল আহমদ সংবাদ মাধ্যমকে বললেন রোকসান রাতে আমাদের বাসায় ছিলেন না। কিন্তু ঔদিন রাতে রোকসানকে ইকবাল আহমদের বড় ভাই আব্দুল মতিন আমাদের বাসায় রেখে যান। তিনি বলেন, ভাবি তার ভাইয়ের উপর অভিমান করেই আত্মহত্যা করছেন। নয়তো কোন ধরনের ঝগড়া ছাড়া এমনটা কেন হবে? এছাড়া পুলিশের কাছে বক্তব্য দেয়ার পর কেন তিনি মামলা করতে গেলেন এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেন নাজিম। তিনি বলেন, ভাবির আগের বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া ও এখন ভাইয়ের সাথে হয়তো কোন অভিমানের কারণে মানসিকভাবে বেশ হতাশ ছিলেন। আর এই অভিমান থেকেই আত্মহত্যা করছেন।
তবে লিজার মামা ইকবাল আহমদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হত্যাকান্ড দামাচাপা দিতেই লিজার শ্বশুরবাড়ীর লোকজন এখন এসব বলছেন। লিজার ভাই রোকসানের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে গতকাল রাতে লিজার লাশ দাফন করা হয়েছে। বিয়ানীবাজার উপজেলার আঙ্গুরা মহাম্মদপুর গ্রামে তাদের পারিবারিক গোরোস্থানে দাফন করা হয়।

 

সৌদন্যে- অনুক্ত কামরুল।