বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা ফি সাড়ে ৩ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৫শ টাকা করেছে সরকার। সোমবার (২৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা রোধে তাইওয়ান সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছে। তাই যারা টেস্ট করে বিদেশে যায় তাদের সাড়ে তিন হাজার থেকে কমিয়ে এক হাজার ৫শ টাকা করা হয়েছে।

এর আগে টেস্টের জন্য নির্ধারিত ফি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০০ টাকার টেস্ট ১০০ টাকা, ঘরে বসে টেস্ট ৫০০ থেকে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এসবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে নির্দেশনা পেয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

করোনার তিন ধরনের টেস্ট হয় জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, একটা হলো পিসিআর টেস্ট, যেটা আমরা করে যাচ্ছি। আর দু’টি টেস্ট- একটি অ্যান্টিজেন এবং অপরটি র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, পিসিআর টেস্টের (প্রচলিত টেস্ট) পাশাপাশি অ্যান্টিজেন টেস্ট অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তবে র‌্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট এ মুহূর্তে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না।

জাহিদ মালেক বলেন, পিসিআর টেস্ট আমরা করে যাচ্ছি। একটা ল্যাব থেকে এখন প্রায় ৮৮টি ল্যাবে পিসিআর টেস্ট হয়। কিন্তু টেস্টের সংখ্যা সেইভাবে বাড়ে না কারণ কিছু লোকের অনীহা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, অ্যান্টিজেন টেস্ট যেটা আছে, সেটা আমরা এখন অ্যালাও করবো সীমিত আকারে। সেটা হবে আমাদের হাসপাতালগুলোতে (সরকারি হাসপতাল) এবং আমাদের যে সরকারি ল্যাব আছে সেখানে। যেখানে আমাদের ল্যাব নেই, সরকারের তত্ত্বাবধানে আমরা সেখানে অ্যান্টিজেন টেস্টের ব্যবস্থা আগামীতে করবো। অর্থাৎ অ্যান্টিজেন টেস্ট আমরা সরকারিভাবে অ্যালাও করবো। কিন্তু অ্যান্টিবডি টেস্ট আমরা এখন অ্যালাও করবো না।

অ্যান্টিজেন টেস্টে কম খরচে স্বল্প সময়ে রিপোর্ট আসে এবং ফলের নির্ভরতা ৭০-৮০ শতাংশ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, ঢাকায় তাইওয়ান ট্রেড সেন্টারের পরিচালক তিমথি ডব্লিড. ডি. সো, ম্যানেজার রঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ।

ঠিকাদার না পাওয়ায় আটকে আছে বারইগ্রাম-আছিরগঞ্জ রাস্তার কাজ